এমবাপ্পে-ডেনমার্ক-এমবাপ্পে; প্রথম দল হিসেবে শেষ ষোলোয় ফ্রান্স

|

ছবি: সংগৃহীত

কিলিয়ান এমবাপ্পে যেন নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার উৎসবে মেতেছেন! এই ফরাসি তারকার জোড়া গোলে ম্যাচ বাঁচানোর জন্য ডেনিশদের দারুণ লড়াইও অপর্যাপ্ত বলেই প্রমাণিত হয়েছে। ম্যাচের ৬১ ও ৮৬ মিনিটে করা এমবাপ্পের দুই গোলের মাঝখানে আন্দ্রিয়াস ক্রিশ্চেনসেন একটি গোল শোধ করেছিলেন। তবে, নেশনস লিগে দুইবার ডেনিশদের কাছে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জপন্য বিশ্বকাপকেই বেছে নিলো ফ্রান্স। ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে রাউন্ড অব সিক্সটিন নিশ্চিত করেছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই। ম্যাচের ৬১ মিনিটে থিও হার্নান্দেজের চমৎকার ক্রস থেকে বল পেয়ে প্লেসিং শটে ক্যাস্পার স্মাইকেলকে পরাস্ত করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। আক্রমণটি তৈরিতেও ছিলেন এমবাপ্পে। নিজেদের অর্ধে পাওয়ায় বল মাঠের বামপ্রান্তে লেফট ব্যাক থিও হার্নান্দেজের উদ্দেশে বাড়ান এই পিএসজি তারকা। দুইজনের ওয়ান-টু-ওয়ান থেকে নিজের ৩০ তম আন্তর্জাতিক গোল এবং বিশ্বকাপে ৬ষ্ঠ গোল করেন এমবাপ্পে।

ফ্রান্স লিড নেয়ার পর কাতারের ৯৭৪ স্টেডিয়ামে শুরু হয় ‘আলে লা ব্লুজ’ গান। তবে ফরাসি গ্যালারির গান থামিয়ে দিতে ৭ মিনিটের বেশি সময় নেননি ডেনমার্কের ডিফেন্ডার আন্দ্রিয়াস ক্রিশ্চেনসেন। ফরাসি গোলমুখে নেয়া ডেনিশদের প্রথম আক্রমণেই ৬৮ মিনিটে সমতা আনে ডেনমার্ক। কর্নার থেকে হেড করে ম্যাচে সমতা আনেন বার্সেলোনার এই ডিফেন্ডার।

এরপর ম্যাচের ৭৭ মিনিটে অরেলিয়া শুয়ামেনির হেড অল্পের জন্য গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। ৭৯ মিনিটে আদ্রিয়ান রাবিওর দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিক গোলপোস্টের খানিকটা উপর দিয়ে গেলে তখনই লিড পাওয়া হয়নি ফরাসিদের। তবে, আজকের ম্যাচটি যেন নিজের করে রাখার পণ করেই নেমেছিলেন এমবাপ্পে। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে আতোয়ান গ্রিজমানের বাঁক খাওয়ানো ক্রসকে কেবল গোলমুখের দিকে তাক করেন এমবাপ্পে। তাতেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হয় ফ্রান্সের। আর, ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বিশ্বকাপে ৭ গোল করার দুর্দান্ত এক রেকর্ড করে ফেলেন এই পিএসজি সুপারস্টার। এই তালিকায় নাম কেবল দু’টো; পেলে এবং এমবাপ্পে!

আরও একটি রেকর্ডও অক্ষুণ্ণ থাকলো ফ্রান্সের জন্য। বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে প্রথমে গোল করার পর ফ্রান্স হারের মুখ দেখেনি শেষ ২২ ম্যাচে। বিশ্বকাপে প্রথমে গোল করে সবশেষ ১৯৮২ সালে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২-৩ গোলে হেরেছিল ফ্রান্স। এমবাপ্পের জাদুতে ডেনিশদের হতাশায় পুড়িয়ে আরও এগিয়ে গেলো ফ্রান্স।

আরও পড়ুন: ‘অভিশাপ’ কাটাতে পারবে ফ্রান্স?

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply