জমাট লড়াইয়ের আভাস রেখে গোলশূন্য ফ্রান্স-ডেনমার্কের প্রথমার্ধ

|

ছবি: সংগৃহীত

দুর্দান্ত ফ্রান্সকে কেবল রুখে দেয়াই নয়, চোখ চোখ রেখে লড়াই করে প্রথমার্ধ শেষ করেছে ডেনমার্ক। তবে বলের দখল রাখাই যে শেষ কথা নয়, সেটাও বুঝতে হবে ক্যাস্পার হিউলমান্ডের ডেনমার্ককে। ফরাসি রক্ষণে কাঁপন ধরানোর মতো আক্রমণ খুব একটা করতে পারেনি ডেনিশরা। অন্যদিকে, এমবাপ্পে-ডেম্বেলেদের একের পর এক আক্রমণ রুখে দিয়েছে ক্রিশ্চেনসেন-নেলসনরা। জমজমাট এক দ্বিতীয়ার্ধের আভাস রেখেই গোলশূন্যভাবে শেষ হয়েছে ফ্রান্স-ডেনমার্কের প্রথমার্ধ।

রক্ষণে বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের কোনো অভাব নেই দিদিয়ের দেশমের হাতে। পাভার, কোনাটে ও লুকাস হার্নাদেজের মতো ডিফেন্ডারদের বদলি হিসেবে জুলস কুন্ডে, রাফায়েল ভারানে এবং থিও হার্নান্দেজের খেলিয়েছেন দেশম। তবে এই ডিফেন্স লাইন ও হুগো লরিসকে বড়সড় কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি এরিকসেন, ড্যামসগার্ডরা।

অন্যদিকে, আক্রমণভাগে প্রতিভার কোনো ছড়াছড়ি না থাকলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি ফ্রান্স। ওসমান ডেম্বেলে, কিলিয়ান এমবাপ্পে, অলিভিয়ের জিরুরা বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। বামপ্রান্ত থেকে বাড়ানো ডেম্বেলের ক্রস ডি বক্সে এমবাপ্পের মাথা খুঁজে পেলেও এমবাপ্পের হেডার খুঁজে পায়নি জালের ঠিকানা।

তবে পিএসজি তারকা এমবাপ্পে চলতি ম্যাচেও গোলপোস্টে দাগিয়েছেন বেশ কিছু শট। কাতার বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত এমবাপ্পের চেয়ে বেশি গোলমুখে শট নিয়েছেন কেবল একজনই, তিউনিসিয়ার ফরোয়ার্ড ইউসেফ সাকনি। তবে এমবাপ্পের এতগুলো শটের মধ্যে একটি পেয়েছে তার কাঙ্ক্ষিত ঠিকানা; সেটি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে অবশ্যই সেরকম সফল আক্রমণই তার কাছ থেকে আশা করছেন ফ্রান্সের সমর্থকরা।

আরও পড়ুন: কোথায় লেভানদোভস্কি? স্কোরশিটে!

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply