চ্যাম্পিয়ন হতে যেসব দিকে তাকিয়ে থাকবে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান

|

ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপের শুরুতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ফাইনালের পক্ষে বাজি ধরার মতো মানুষ খুব বেশি হয়তো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে আসরের ফাইনালিস্ট এবার এই দুই দল। সুপার ফোরে পাকিস্তানকে শ্রীলঙ্কা হারালেও ফাইনাল জয় কারা করবে তা বলে দেয়া খুব সহজ হবে না। তবে উদ্বোধনী ব্যাটারদের দারুণ ফর্ম, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার স্পিন এবং হাল না ছাড়ার মানসিকতার জন্য লঙ্কানদের সম্ভাবনা থাকছে এই ম্যাচে। আর পেসারদের সাথে লোয়ার অর্ডার ব্যাটিং ও রিজওয়ান-বাবরের উদ্বোধনী জুটির দিকে তাকিয়ে থাকবে পাকিস্তান সমর্থকরা। এক নজরে দেখা যাক, চ্যাম্পিয়ন হতে যেসব দিকে মনোযোগ দিতে হবে দুই দলকে।

টস জিতলেই ম্যাচ জয়:

আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো এশিয়া কাপে টস পালন করছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ২১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে আগে ব্যাট করা দল জিতেছে মাত্র ৩ ম্যাচ। স্কটল্যান্ড, হংকং ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ তিনটি জিতেছিল ভারত ও নিউজিল্যান্ড। এই মাঠে রাতে শিশিরের কারণে বল গ্রিপ করতে অসুবিধা হয় বোলিং সাইডের। আর ফ্লাড লাইটের আলোয় আউটফিল্ডের গতি বেড়ে যায় অনেকটাই। এসব কারণে, এশিয়া কাপেই দেখা গেছে, টস জেতা মানেই ম্যাচের অনেকটাই জিতে যাওয়া।

যে কারণে টস জরুরি। ছবি: ক্রিকইনফো

স্পিন খেলায় দক্ষতা:

অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, দুই দলই স্পিন খেলায় খুব বেশি দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি চলতি আসরে। মোহাম্মদ নওয়াজ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ছাড়া পাকিস্তান দলের আর কেউই দক্ষতার সাথে স্পিন সামলাতে পারেনি। ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, বাবর আজম ও খুশদিল শাহ স্পিনের বিপক্ষে ১০০’র কম স্ট্রাইক রেটে রান তুলেছেন। স্পিনারদের সামলাতে মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খানকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দেয়ার কথা ভাবতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।

স্পিনের বিপক্ষে দুই দলের দুর্দশার চিত্র। ছবি: ক্রিকইনফো

অন্যদিকে, কুশল মেন্ডিস ছাড়া লঙ্কান ব্যাটাররাও স্পিন ভালোভাবে সামলাতে পারেননি। স্পিনারদের বিপক্ষে পুরো টুর্নামেন্টে ১৮৬.৯ স্ট্রাইক রেটে ৪৬ বলে ৮৬ রান তুলেছেন মেন্ডিস। তবে ভুগতে হয়েছে দাসুন শানাকা, পাথুম নিশাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কাদের। স্পিনারদের বিপক্ষে শানাকার রান ৩৩ বলে ৩০, আসালাঙ্কা করেছেন ১৫ বলে মাত্র ৭। নিশাঙ্কার পরিসংখ্যান অবশ্য তাদের চেয়ে ভালো। ৫৫ বলে ৬৫ রান তুলেছেন তিনি। এই তিন ব্যাটারই একাধিকবার আউট হয়েছেন স্পিনারদের বলে। শাদাব খানকে মোকাবেলা করাই হয়তো কঠিন পরীক্ষা হতে যাচ্ছে লঙ্কান মিডল অর্ডারের জন্য।

হাসারাঙ্গা ফ্যাক্টর:

সুপার ফোরের দেখায় লঙ্কানদের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। আর সেই ম্যাচে ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। মাঝের ওভারগুলোয় বাবর আজম, ইফতিখার আহমেদ ও আসিফ আলীর গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তিনটি নেন এই লেগস্পিন অলরাউন্ডার। শুধু সেই ম্যাচই নয়, পাকিস্তান যে হাসারাঙ্গার প্রিয় প্রতিপক্ষ, সেটাও বলছে পরিসংখ্যান। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৬ বল করে ওভারপ্রতি মাত্র ৬.২৫ রান দিয়ে ৯.০৯ গড়ে হাসারাঙ্গা নিয়েছেন ১১ উইকেট।

টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে হাসারাঙ্গার রেকর্ড। ছবি: ক্রিকইনফো

হাসারাঙ্গার প্রধান অস্ত্র গুগলি, আর সেখানেই পাকিস্তানের অবস্থা সঙ্গিন। গুগলিতে ৬৩ বলে ৭২ রান তুলতেই পাকিস্তান হারিয়েছে ৪টি উইকেট। হাসারাঙ্গাকে মোকাবেলা করতে তাই মিডল অর্ডারে বাঁহাতি ব্যাটারদের নামাতে পারে পাকিস্তান। কারণ, চলতি আসরে হাসারাঙ্গার ৬ উইকেটের সবক’টিই ডানহাতি ব্যাটার। আর বাঁহাতি ব্যাটাররা রান তুলেছে বলের সমান।

আরও পড়ুন: ফাইনালে কেমন হতে পারে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার একাদশ

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply