যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি, ভোগ্যপণ্যের দাম ৪০ বছরে সর্বোচ্চ

|

৪০ বছরের অর্থনীতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখলো যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারগুলোয় ভোগ্য পণ্যের দাম গেলো বছর ডিসেম্বর মাস নাগাদ বেড়ে ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৮২ সালের পর ৪০ বছরের মধ্যে ভোগ্যপণ্যের দাম সর্বোচ্চ বেড়ে যাওয়াটাই বাইডেন প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

ভোক্তাদের অনাস্থা বৃদ্ধি পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছেন নীতিনির্ধারকরা। ধারণা করা হচ্ছে, এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশটির অর্থনৈতিক ভবিষ্যত কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়বে। ডিসেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির সূচক ৭ শতাংশ ছুঁয়েছে; বিশেষভাবে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। উৎপাদকরা কয়েকমাস ধরেই প্রত্যাশায় ছিলেন যে, সাপ্লাই চেইনে স্বাভাবিকতা ফিরবে এবং ভোক্তা চাহিদা অনুযায়ী বাড়ানো যাবে সরবরাহ। কিন্তু, করোনাভাইরাসের একের পর এক ধাক্কা এবং লকডাউনে শিপিং রুটগুলো হয়ে পড়ে স্থবির। এছাড়াও বন্ধ থাকছে কারখানাগুলো। আর এতে দেখা দিয়েছে দক্ষ জনবল সংকটও। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে।

প্রতীকী ছবি।

ব্যাংক রেটের মুখ্য অর্থনৈতিক বিশ্লেষক গ্রেস ম্যাকব্রাইড বলেন, সাতকে সৌভাগ্যের নম্বর বলা হলেও এবার সেই যুক্তি খাটলো না। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় গেলো বছরের শেষ মাসে, ভোক্তা মূল্য ইনডেক্স বাড়লো ৭ শতাংশ। যা, ৪০ বছরের মার্কিন অর্থনীতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। ১৯৮২ সালের জুন মাসে এই পরিস্থিতি দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে খাদ্যপণ্যের দাম ৬ শতাংশ, জ্বালানি মূল্য ২৯ শতাংশ এবং আবাসন খরচ বাড়লো ৪ শতাংশ পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে সতর্কবার্তা দিলো বিশ্ব ব্যাংক


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply