টাকা ধরলেই ধুতে হবে হাত

|

কাগজের নোট-কয়েনে পাওয়া মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জীবাণুমুক্তের কোন ব্যবস্থা নেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ধীরে ধীরে কাগজের নোটের ব্যবহার কমিয়ে লেনদেন বাড়াতে হবে অ্যাপসের মাধ্যমে। টাকা ব্যবহারের পর ভালোভাবে হাত ধোঁয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

টাকা গোনার দৃশ্য হরহামেশাই চোখে পড়ে। অজ্ঞতাবশত এভাবেই প্রতিনিয়ত ক্ষতিকর সব ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করছে মানবদেহে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের গবেষণায় জানা গেছে, নগরীর ১৫টি উৎস থেকে সংগ্রহ করা দেশের প্রচলিত সকল ধরণের কাগজের নোট ও কয়েনে রয়েছে ‘ই-কোলাই ও ফেকাল কলিফম’ নামে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার উচ্চমাত্রার উপস্থিতি। এর মধ্যে মাছের দোকান থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় ‘ই কোলাই’ রয়েছে ২৬০০, মাংসের দোকানে ২১৩০, মুরগির দোকানে ২৪৮০ এবং ফলের দোকানে ই কোলাইয়ের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে ৭০০টি। একইভাবে ফেকাল কলিফম মিলেছে মাছের দোকানে ২৮০০, মাংসের দোকানে ২৬৬০, মুরগির দোকানে ২৯০০ এবং ফলের দোকানে ২০৬০টি।

কোন না কোনভাবে এসব টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়। গবেষকরা বলছেন, এসব প্রতিষ্ঠানকেই টাকা ও কয়েনকে জীবাণুমুক্তের উদ্যোগ নিতে হবে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুদ্রা জীবাণুমুক্ত করার কোন ব্যবস্থাই নেই, তাদের কাছে।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিঃ ভাইস প্রেসিডেন্ট আলতামাস আল-মাসুদ জামালী বলেন, নতুন টাকা সবসময় রাখা সম্ভব না স্টকে। আমরা রি ইস্যু নোট গুলোই গ্রাহকদের দিয়ে থাকি।

ঢাকা ব্যাংক লি: এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আরিফ কামাল চৌধুরী বলেন, আমাদের পেপার কারেন্সি থেকে সরে আসতে হবে। প্রতিদিনের লেনদেন ই-ওয়ালেট ব্যাবহার করে কমাতে পারি।

চিকিৎসকরা বলছেন, পথে, মাঠে, ঘাটে, প্রান্তরে ‘ই-কোলাই ও ফেকাল কলিফম’ জীবাণুযুক্ত টাকার ব্যবহার যেভাবে বাড়ছে তা উদ্বেগজনক।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিন অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, টাকাতে কয়েনের চেয়ে একটু বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে, যেহেতু টাকার পরিমাণটা বেশি তাই এতে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ এর কনসালটেন্ট মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন , কয়েন ধরার পর হাত না ধুয়ে যেন কোন খাবার গ্রহণ না করা হয়। খাবার পূর্বে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply