কাশ্মির ইস্যুতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে ওআইসি

|

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির সমস্যা নিয়ে বৈঠক ডেকেছে অরগ্যানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)। ভারত সরকার কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ায় এ বৈঠকের জন্য আহ্বান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ড. মোহাম্মদ ফয়সাল। তিনি জানান, মঙ্গলবার জেদ্দায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

এক টুইটবার্তায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ফয়সাল বলেন, ওআইসির আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী কাশ্মির ইস্যুতে পাকিস্তানকে তুলে ধরবেন।

জম্মু-কাশ্মির নিয়ে ভারত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে নিন্দনীয় এবং অবৈধ বলে উল্লেখ করে মোহাম্মদ ফয়সাল জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখার বিষয়ে আজ জেদ্দায় ওআইসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাওয়ালপিন্ডিতে বৈঠক করে। এর পরই পাক আইএসপিআরের পক্ষ থেকে কাশ্মিরীদের সমর্থনের ঘোষণা দেয়া হয়। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কাশ্মিরীদের প্রতি দায়বদ্ধতা পূরণে যে কোনো কিছু করতে পাক সেনাবাহিনী প্রস্তুত।

এর আগে সোমবার সকালে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব করেন। সংসদের অনুমোদনের পরই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন।

রাষ্ট্রপতির সইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই কাশ্মিরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেয়া ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হয়। সেই সঙ্গে একটি স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের মর্যাদাও হারায় কাশ্মীর।

আইনটি পাস করার আগে থেকে জম্মু ও কাশ্মিরে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল ভারত সরকার। পরে তাদের সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৫-ক ধারা অনুযায়ী কাশ্মিরের বাসিন্দা নয় এমন ভারতীয়দের সম্পদের মালিক হওয়া এবং চাকরি পাওয়ায় বাধা ছিল।

৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মিরের এমন এক স্বায়ত্তশাসন রয়েছে যা ১৯৪৭ সালের পর দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দেশের রাজ্য পায়নি।

অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মিরকে নিজেদের সংবিধান এবং একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দিয়েছে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্য সব ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দিয়েছে।

সংসদে ক্ষমতাসীন জোট সোমবার ধারা দুটি বাতিলের যে বিল উত্থাপন করে তা পাস হওয়ায় কাশ্মিরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দশা এখন ফিলিস্তিন কিংবা মিয়ানমারের রাখাইনের রোহিঙ্গাদের মতো হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।

এর আগে গত রোববার ওআইসির তরফ থেকে জম্মু-কাশ্মিরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply