স্মিথের প্রত্যাবর্তনের টেস্টে জয়ে রাঙাল অস্ট্রেলিয়া

|

স্টিভ স্মিথের রাজসিক প্রত্যাবর্তনের টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত জয়। বল টেম্পারিং কাণ্ডে নিষিদ্ধ হওয়া স্মিথ প্রায় ১৬ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো ব্যাটিং করেছেন।

অ্যাশেজ সিরিজে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই ইনিংসে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করেছেন স্মিথ। স্মিথের টেস্টে বল হাতে অসাধারণ নৈপূণ্য দেখিয়েছেন নাথান লায়ন ও প্যাট কামিন্স। তাদের নৈপূণ্যে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে ২৫১ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

বার্মিংহাম টেস্টে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন নাথান লায়ন। অস্ট্রেলিয়ান এ অফ স্পিনার দুই ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৯ জন ব্যাটসম্যানকে আউট করে সাজঘরে ফেরান। এ ছাড়া দুই ইনিংসের ৭ উইকেট শিকার করেন অসি পেসার প্যাট কামিন্স। ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে স্টিভ স্মিথের সেঞ্চুরিতে ২৮৪ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। প্রায় ১৬ মাস পর খেলায় ফিরে ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেন স্মিথ। এ ছাড়া ৪৪ রান করেন পিটার সিডল। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন স্টুয়ার্ড ব্রড। এ ছাড়া তিনটি করে উইকেট নেন জেমস অ্যান্ডারসন ও মঈন আলী।

জবাবে ব্যাটিংয়েনেমে জো বার্নসের সেঞ্চুরি ও জো রুট-বেন স্টোকসের জোড়া ফিফটিতে ৩৭৪ রান করে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৩ রান করেন ওপেনার বার্নস। ৫৭ ও ৫০ রান করে করেন রুট-স্টোকস। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেটে শিকার করেন প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়ন।

৯০ রানে পিছিয়ে থেকে স্টিথ ও ম্যাথু ওয়েডের জোড়া সেঞ্চুরিতে সাত উইকেটে ৪৮৭ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা স্মিথ দ্বিতীয় ইনিংসের করেন ১৪২ রান। বল টেম্পারিং কাণ্ডের ১৪ মাস পর টেস্টে ফিরে অ্যাশেজের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে দুই ইনিংসে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে স্মিথের দেখাদেখি সেঞ্চুরি করেন ম্যাথু ওয়েড। তিনি ১১০ রান করেন।

জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৯৮ রান। রোববার চতুর্থ দিনে বিনা উইকেটে ১৩ রান নিয়ে দিন শেষ করে ইংলিশরা। সোমবার শেষদিনে নাথান লাংনের স্পিন ও প্যাট কামিন্সের গতিতে বিপর্যন্ত ইংলিশরা।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে ১৪৬ রানেই অলআউট হয় জো রুটের নেতৃত্বাধীন দলটি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট শিকার করা নাথান লায়ন দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৬ উইকেট। এছাড়া ৪ উইকেট শিকার করেন প্যাট কামিন্স। প্রথম ইনিংসের তিনি ৩ উইকটে শিকার করেছিলেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ২৮৪/১০ (স্মিথ ১৪৪, পিটার সিদল ৪৪; স্টুয়ার্ড ব্রড ৫/৮৬, ক্রিস ওকস ৩/৫৮)। ও দ্বিতীয় ইনিংস: ৪৮৭/৭ (স্মিথ ১৪২, ওয়েড ১১০, ট্রাভিস হেড ৫১, পেটিনসন ৪৭*; ওকস ৩/৮৫)।

ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংম: ৩৭৪/১০ (বার্নস ১৩৩, রুট ৫৭, স্টোকস ৫০; কামিন্স ৩/৮৪, লায়ন ৩/১১২)। ও দ্বিতীয় ইনিংস: ১৪৬/১০ (ক্রিস ওকস ৩৭, জেসন রয় ২৮, জো রুট ২৮, লায়ন ৬/৪৯, কামিন্স ৪/৩২)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ২৫১ রানে জয়ী।

সূত্র: যুগান্তর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply