বিজেপি সংবিধানকে ধর্ষণ করেছে, আরেকটি ফিলিস্তিন বানাচ্ছে: রাজ্যসভা এমপি

|

কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই-এম) এমপি টিকে রঙ্গরাজন বলেছেন, ‘আজকের দিনটি কালো দিবস। বিজেপি ভারতের সংবিধানকে ধর্ষণ করেছে। আপনারা জম্মু-কাশ্মির-লাদাখের মানুষের সাথে এ নিয়ে পরামর্শ করেননি। আইনসভা (জম্মু কাশ্মিরের) বিলোপ করেছেন। কোনো নির্বাচন আয়োজন করেননি। ওখানে নতুন করে ৩৫ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছেন। আপনারা আরেকটি ফিলিস্তিন বানাচ্ছেন।’

রাজ্যসভায় আজ সকালে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জম্মু-কাশ্মিরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা (৩৭০ ধারা) বাতিলের প্রস্তাব পেশ করার পর এমপি রঙ্গরাজন এসব কথা বলেন।

অবশ্য একই সময় শিবসেনার এক এমপি জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা ও রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি কেড়ে নেয়ার ঘটনাকে অখণ্ড ভারত গঠনের পথে একধাপ অগ্রগতি হিসেবে মন্তব্য করেছেন।

অমিত শাহ রাজ্যসভায় কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদ রদ করার প্রস্তাব এবং জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখকে আলাদা আলাদাভাবে কেন্দ্রের শাসনের অধীনের বিল সংসদে পেশ করার পর শিবসেনা এমপি সঞ্জয় রাউত বলেন, “আজ আমরা জম্মু কাশ্মির পেলাম। কাল বেলুচিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির নিয়ে নেবো। আমি নিশ্চিম প্রধানমন্ত্রী মোদি অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন সত্যি করবেন।”

এর আগে ভারত অধিকৃত কাশ্মিরকে দুইভাগে ভাগ করার প্রস্তাব পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ সকালে সংসদে ‘জম্মু ও কাশ্মির রিঅর্গানাইজেশন বিল ২০১৯’ নামের এই বিলটি উপস্থান করা হয়। এতে লাদাখ ও জম্মু কাশ্মিরকে আলাদা আলাদা অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় অঞ্চলই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা শাসিত হবে। তবে জম্মু ও কাশ্মিরের নিজস্ব একটি আইনসভা থাকবে আর লাদাখের আইনসভা থাকবে না।

রাজ্য ও বিধানসভায় উভয় জায়গায়ই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পাশ হবে এসব প্রস্তাব ও বিল।

এদিকে প্রস্তাব পেশের পর বিশেষ মর্যাদা রদ করার প্রজ্ঞাপনে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাজনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করেছেন।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মিরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’; যা ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ পরিচ্ছেদের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে তা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাব রাখার সাথে সাথে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধী সাংসদরা। তাদের শোরগোলের মধ্যে অমিত শাহের বক্তব্য শোনা যাচ্ছিল না।

স্পেশাল স্টেটাস এর অধীনে জম্মু কাশ্মির রাজ্যের নাগরিকত্বের অধিকার নিয়ন্ত্রণ করা সহ, স্থাপবর সম্পত্তির মালিকানা, মৌলিক অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ ছাড়া নিজেদের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখতো, যা ভারতের অন্যান্য রাজ্যের ছিলো না।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply