ঘুম ও স্বপ্নের ৮ তথ্য

|

মানুষের স্বাভাবিক জৈবিক চাহিদাগুলোর মধ্যে ঘুম একটি। ঘুম আমাদের সবার জন্যই খুব জরুরি একটি জিনিস। কারণ মানুষ খাবার ছাড়া বেঁচে থাকতে পারলেও ঘুম ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে না। অবাক হলেও কথাটি সত্যি। ঘুম সম্পর্কে নানা ধরনের জানা-অজানা তথ্য আমাদের অবাক করে দেয়।

** যখন আমরা ঘুমাই তখন আমাদের মস্তিষ্ক শক্তি লাভ করে। সারা দিনে আমাদের শরীরের নষ্ট হওয়া কোষগুলো নিজে নিজে ঠিক হয় এবং শরীরের গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নিঃসরণ করে, যা আমাদের দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।

** বয়স অনুসারে প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন সময়ের ঘুমের প্রয়োজন হয়। একেক বয়সের মানুষের ঘুমের সময়কাল একেকরকম হয়ে থাকে। শিশুদের ১৬ ঘণ্টা, ৩ থেকে ১২ বছর বয়সীদের ১০ ঘণ্টা, ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ১০ ঘণ্টা, ১৯ থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের ৮ ঘণ্টা, ৬৫ বছরের ওপরে ৬ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।

** পুরুষ ঘুমের সময় তার স্বপ্নে অন্য পুরুষকে দেখে থাকেন প্রায় ৭০% সময়, কিন্তু নারী তার স্বপ্নে পুরুষ এবং নারী উভয়কেই সমান সময়ের জন্য দেখে থাকেন।

** আমরা আমাদের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষকেই স্বপ্নে দেখি। অথবা যখন আমরা কোনো একজন মানুষকে ভাবতে ভাবতে ঘুমাতে যাই তখন ঘুমের মধ্যে তাকে স্বপ্নে দেখি। একেবারেই অপরিচিত মুখ স্বপ্নে দেখা খুব কমই হয়ে থাকে।

** প্যারাসমনিয়া এক ধরনের ঘুম সম্পর্কিত রোগ যা মানুষকে ঘুমের মধ্যে অস্বাভাবিক কাজ করতে বাধ্য করে। এই রোগের কারণে অনেক ধরনের অপরাধ পর্যন্ত করতে পারে মানুষ। আজ পর্যন্ত এই রোগের কারণে সংঘটিত হওয়া অপরাধের মধ্যে ঘুমের ভেতর গাড়ি চালানো, হত্যা, নির্যাতন সবচেয়ে গুরুতর।

** শতকরা ১২ জন মানুষ সাদা-কালো রঙের স্বপ্ন দেখেন। যখন সাদা-কালো টিভির যুগ ছিল তখন বেশিরভাগ মানুষ

সাদা-কালো স্বপ্ন দেখতেন। গবেষণায় দেখা গেছে, রঙিন টিভি আসার পর থেকে সাদা-কালো স্বপ্ন দেখার সংখ্যা অনেক বেশি কমে গেছে।

** ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখা ঘুমের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যে মানুষ একেবারেই স্বপ্ন দেখেন না তিনি মানসিকভাবে অশান্তিতে আছেন কিংবা তার ঘুম সংক্রান্ত মারাত্মক রোগ রয়েছে।

** বেঁচে থাকার জন্য মানুষের খাদ্যের দরকার, কথাটি আমরা সবাই জানি। কিন্তু আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাবারের চেয়ে বেশি দরকার ঘুমের। টানা ২ সপ্তাহ না খেয়ে হয়তো কেউ বেঁচে থাকতে পারবেন। এতে তার দেহের ক্ষতি হবে কিন্তু মারা যাবেন না। অথচ কোনো মানুষ যদি মাত্র ১০ দিন না ঘুমান তাহলে তার মৃত্যুর আশংকা একশ’ ভাগ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply