ইরানে যেতে পারলে আমি বরং খুশিই হব: পম্পেও

|

US Secretary of State Mike Pompeo speaks during a joint press conference with Salvadoran President Nayib Bukele (out of frame) at the presidential residence in San Salvador on July 21, 2019. (Photo by MARVIN RECINOS / AFP)

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা নিরসনে ইরানে যেতে পারলে খুশিই হব।

ব্লুমবার্গ নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে আমি ইরানি টেলিভিশনে কথা বলতে চাই।

ইরানি লোকজনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগকে তিনি স্বাগত জানাবেন বলেও জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিন বলেন, ইরানি লোকজনকে আমি বলতে চাই, তাদের নেতৃবৃন্দ কী করছেন এবং এতে কীভাবে তাদের নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

গত বছর ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, তিনি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরতে চাচ্ছেন। এজন্য উপসাগরীয় দেশটির বিরুদ্ধে একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গত সপ্তাহে তারা ইরানের একটি কিংবা দুটি ড্রোন গুলি করে ধ্বংস করেছেন। কৌশলগত উপসাগরীয় জলপথে বেশ কয়েকটি তেল ট্যাংকারে রহস্যজনক হামলার জন্যও দায়ী করা হচ্ছে ইরানকে।

গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি মানববিহীন বিমান গুলি করে ভূপাতিত করে ইরান। পরবর্তী সময়ে ইরানে বিমান হামলার নির্দেশ দিয়েও তা প্রত্যাহার করেন নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আশঙ্কা, এতে ব্যাপক মানুষ হতাহত হতেন।

ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে অভিযোগ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার দেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে।

তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বৃহস্পতিবার পম্পেও বলেন, ইরানি সরকারের ওপর তার কোনো দায়িত্ব নেই। দিন শেষে দেশটি পরিচালনা করেন আয়াতুল্লাহ। আমরা যতোটা সম্ভব মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply