মাদারীপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

|

স্টাফ রিপোর্টার,   মাদারীপুর:

মাদারীপুরে ১০ম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রী দিপ্তী আক্তারকে ধর্ষণ শেষে হত্যার করে লাশ ইট বেঁধে পুকুরে ফেলার রাখার মামলায় ইজিবাইক চালক সাজ্জাক হোসেন খানকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৮। আটককৃত সাজ্জাদ মাদারীপুর পৌরসভার পূর্ব খাগদী এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

শনিবার ভোর ৫টায় নিজ বাড়ি খাগদী থেকে আটক করা হয়। আটকের পর বেলা ১২ টার দিক র‌্যাব-৮ এর অতিরিক্ত ডিআইজি (সিও) আতিকা ইসলাম মাদারীপুর ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

র‌্যাব-৮ এর প্রধান কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম জানান, গত ১১ জুলাই মাদারীপুর শহরের ইটেরপুল বোনের বাসা থেকে ইজিবাইকযোগে চরমুগরিয়ার দিকে যাচ্ছিল দিপ্তী। পরে ইজিবাইকটি পূর্ব খাগদী এলাকায় সাজ্জাদের বাড়ি কাছে পৌঁছালে ইজিবাইকে দিপ্তী একা থাকায় জোর করে ঘরের ভেতর নিয়ে যায় সে। প্রথমে চেতনানাশক দিয়ে দিপ্তীকে অচেতন করে তারপর ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে দিপ্তী অসুস্থ হয়ে পড়লে গলা টিপে তাকে হত্যা করা হয়। পরে গলায় ইট বেঁধে নিহতের লাশ বস্থায় ভরে সাজ্জারের বাড়ির কাছের একটি পুকুরে ফেলে রাখে।

১৩ জুলাই নিহতের লাশ পুকুরে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে লাশের পড়নে পোশাক দেখে দিপ্তীর লাশ সনাক্ত করে পরিবার।

১৪ জুলাই নিহত দিপ্তীর পরিবার সদর মডেল থানায় ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে এ মর্মে একটি মামলা করে। লাশ উদ্ধারের সূত্র ধরে তদন্তে নামে র‌্যাব। পরবর্তীতে ধর্ষণ ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার ও সাজ্জাকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় সাজ্জাদ তার দোষ স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছে র‌্যাব। পরে শনিবার দুপুরে সাজ্জাদকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে ১৯৯২ সালে ৭ বছরের শিশুকে গলাকেটে হত্যার মামলায় ১৮ বছর কারাভোগ করেন সাজ্জাদ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply