গাইবান্ধায় ৩৬৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
গাইবান্ধায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সাত উপজেলার ৩৬৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পাঠদান বন্ধ থাকা এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩০৯টি বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ভাঙনে ইতোমধ্যে তিনটি প্রাথমিক ও একটি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে।

পাঠদান বন্ধ থাকা বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪টি কলেজ রয়েছে। বন্ধ থাকা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অধিকাংশই দূর্গম চরে অবস্থিত। এছাড়া বন্যা ও ভাঙনের মুখে থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হুমকির মুখে রয়েছে আরও ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

গাইবান্ধা প্রাথমিক শিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হোসেন আলী জানান, বন্যার পানিতে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাঠ তলিয়ে গেছে। কোন কোন বিদ্যালয়ের মাঠ ও ক্লাস রুমে পানি উঠেছে। কোন বিদ্যালয়ের চারপাশে বন্যার পানি থৈথৈ করছে। আবার দূর্গত এলাকার অনেক মানুষ বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। ফলে পাঁচ উপজেলায় চলমান বন্যায় ২৮১টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান, বন্যায় বির্স্তীণ জনপদ প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ও অনেক প্রতিষ্ঠানে বর্ন্যাতদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ কারণে জেলার ৮৪টি মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে।

গত ১১ জুলাই থেকে উজানের ঢল আর টানা বৃষ্টির কারণে গাইবান্ধায় একে একে সাত উপজেলার প্রায় ৪০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলসহ বির্স্তীণ জনপদ প্লাবিত হয়। জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেড় লাখ পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন চারলাখ মানুষ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply