নওগাঁয় খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে বানভাসিরা

|

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:

নওগাঁর মান্দা উপজেলার বনকূড়া এলাকায় আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ভয়াবহ রুপ নিয়েছে বন্যা।

আজ শুক্রবার সকালেও রানীনগর উপজেলার মালঞ্চি নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর বেরী বাঁধ ভেঙ্গে ৪ টি গ্রাম ডুবে গেছে।

বানের পানিতে ক্রমেই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়ছে হাজারো মানুষ। বন্যা কবলিত এলাকায় খাবার সংটক ও বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব দেখা দিয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানির চাপে বুধবার ভোরে বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়রা জানান, পানির তোরে বাঁধের ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ৩শ ফুট ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবল স্রোতে ডুবে যাচ্ছে বসত বাড়ি ও ফসলের মাঠ । এরইমেধ্যে মান্দা উপজেলার নুরুল্যাবাদ, কসব, বিষ্ণপুরসহ ৪ টি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ টি গ্রামে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে।

এছাড়া পাশের আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া, বান্দায়খাড়া ও নাটোর জেলার শিংড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল সমূহে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। ওইস এলাকার গ্রামগুলোতে বসবাসকারীরা পানি বন্দি হয়ে পড়ছে।

ভূক্তভোগীরা জানান, দ্রুত পানি বন্ধি হওয়ায় অনেকে জীবন বাঁচাতে বাড়ি ঘরের আসবাবপত্র ও গৃহপালিত গবাদি পশু ফেলে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। দূর্গত এলাকায় মানুষ উচু স্থান, বিদ্যালয়ের ছাদ ও বাঁধের উপড় আশ্রয় নিয়ে কোন মতে বসবাস করছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় চলাচল করতে পারছেন দূর্গতরা।

বানাসিরা বলছেন- বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার কয়েক দিন অতিবাহিত হলেও সরকারী ভাবে এখনও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়নি। তাই অনেকেই খেয়ে-না খেয়ে দিন যাপন করছেন। বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে চরম কষ্টে তাদের দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। দ্রুত খাবার ও খাবার পানি সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এরইমধ্যে ৪শ পরিবারকে শুকনা খাবার, চাল, ডাল ও তেলসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরো সরবরাহ করা হবে। দ্রুতই বন্যার পানি কমতে শুরু করবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply