গাইবান্ধায় পানিবন্দী মানুষ, বিপর্যস্ত সড়ক ও ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে প্রতিদিনেই বন্যার পানি বাড়ছে গাইবান্ধাতে। বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১৫০ সে. মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঁধ ও ব্রিজ ধসে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে গাইবান্ধা পৌর শহরের অধিকাংশ এলাকা। বন্যার পানিতে এখন জেলার ৫ উপজেলার ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দী এসব মানুষ কোন রকমে বাঁধ ও উচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। পানি উঠায় চার উপজেলার আড়াই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, বিভিন্ন সড়কে পানি ওঠায় এবং তীব্র স্রোতের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বুধবার সকালে গাইবান্ধার বাদিয়াখালি এলাকায় রেল লাইনে পানি ওঠায় বন্ধ রয়েছে গাইবান্ধা থেকে ট্রেন যোগাযোগ। এছাড়া চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সড়কের বেশ কয়েকটি পয়েন্টসহ ব্রিজ, কালভার্ট। এরমধ্যে প্রবল স্রোতে গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের বাদিয়াখালী ভাঙ্গামোড় ও উল্যা ভরতখালী, গাইবান্ধা-বালাসী ও কালিরবাজার সড়ক, গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের খোলাহাটির কদমেরতল এলাকায় সড়ক ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাথে ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

অপরদিকে, শহর বাঁধ ধ্বসে গাইবান্ধা-সাদুল্লাপুর সড়কের কাজলঢোপ এলাকায় প্রবল বেগে পানির স্রোত বইছে। ফলে সড়ক দিয়ে যাতায়াতে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া সদরের বানিয়ারজান, বাগুড়িয়া, ফুলছড়ির কাতলামারী, সোনাইল এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাঁচটি পয়েন্টে ধসে গেছে। ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে কামারজানি, সিংড়া, পুলবন্দিসহ কয়েকটি এলাকার বাঁধ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply