নেত্রকোনায় ৪৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

|

নেত্রকোনায় সবগুলো নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অনেক অবনতি হয়েছে। এসব নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় নয়টি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি  উপজেলার সড়ক, ঘরবাড়ি, পুকুর-মৎস্য খামারসহ, ৪৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ আছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন করে খালিয়াজুরি ও মদন উপজেলার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বন্যায় কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বারহাট্টা, পূর্বধলা, মোহনগঞ্জ, আটপাড়া ও সদর উপজেলায় নতুন করে বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি থাকায় অন্তত ৪৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আরো প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, ‘সারা জেলায় ৩৮৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে কলমাকান্দায় ১৫৫টি, সদরে ২৫টি, বারহাট্টায় ৮০টি, দুর্গাপুরে ৪১টি, মোহনগঞ্জে ২১টি, আটপাড়ায় ১০টি রয়েছে। ওই বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণিকক্ষ ও সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান জানান, ‘সোমশ্বরী ও ধনু নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপদসীমার কিছুটা নিচে থাকলেও কংস ও উব্দাখালি নদীর পানি এখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে। কংস নদীর জারিয়া পয়েন্টে ২.১০ মিটার এবং উব্দাখালি নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

জেলা সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যায় জেলার ১০টি উপজেলাতে ৯৮টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। বন্যাকবলিত মানুষদের খাবার স্যালাইন,পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট, সর্দি-জর ও পানি বাহিত রোগসহ বিভিন্ন রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হচ্ছে।’

নেত্রকোনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া আছে। একই সঙ্গে বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এ পযন্ত ১১০ মেট্রিকটন চাল ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।’


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply