বগুড়ার ৩ উপজেলায় সাড়ে ৫শ’ গ্রাম পানিতে

|

তিন দিন ধরে টানা পানি বৃদ্ধিতে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে সাড়ে পাঁচশ’রও বেশি গ্রাম। সাড়ে ৮ হাজার হেক্টরের বেশি ফসল সোমবার পর্যন্ত তলিয়েছে পানির নিচে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, আরো অন্তত ৩ দিন পানি বৃদ্ধির চলমান হার অব্যহত থাকতে পারে। তবে বন্যার কবলে পড়া তিন উপজেলার প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বগুড়ার মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত শনিবার দুপুরে চলতি মৌসুমে বগুড়ায় প্রথম বিপদসীমা অতিক্রম করে যমুনা নদী। পাশাপাশি বাঙালী নদীর পানিও বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।

এই দুই নদীর পানি বৃদ্ধিতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনটের মোট ২৯ ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ছেন ক্রমেই। তিন উপজেলায় বন্ধু হয়ে গেছে ৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম। পাট, আউশ ধান, মরিচ, আমন বীজতলা ও বিভিন্ন সবজির ৮ হাজার ৬০৩ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া এবারের বন্যায় সারিয়াকান্দি উপজেলায় বিভিন্ন মৎসখামারের প্রায় ২ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রায়হানা ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকলেও বড় দুর্যোগের শঙ্কা এখনো নেই বন্যাকবলিত এলাকায়। এই ৩ উপজেলাকে রক্ষায় নির্মাণ করা ৪৫ কিলোমিটার নদীতীররক্ষা বাঁধ সুরক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ত্রাণ কার্যক্রমও বিস্তৃত হচ্ছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply