সুপার ওভার টাই হলে যেভাবে ফল নির্ধারণ হয়

|

বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচটি নির্ধারিত ওভারে টাই হয়। নিউজিল্যান্ডের ২৪১ রানের জবাবে ২৪১ রানেই থেমে যায় ইংল্যান্ড।

খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য সুপার ওভারও টাই হয়।

ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ১৫ রান করে। টার্গেট তাড়া করতে নেমে জফরা আর্চারের ওভারের প্রথম পাঁচ বলে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ১৪ রান। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান। মার্টিন গাপটিল এক রান সম্পন্ন করে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হলে সুপাও ওভারেও টাই হয়।

দর্শকদের মধ্যে কৌতুহল ছিল আরও একটি সুপার ওভার বা যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় কিনা? কিন্তু সুপার ওভারের নিয়মানুসারে ইংল্যান্ডই চ্যাম্পিয়ন হয়।

আসুন জেনে নিই সুপার ওভার টাই হলে আইসিসির চূড়ান্ত নীতিমালা-

১. মূল ম্যাচে যে দল সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি হাঁকাবে, তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

২. যদি এক্ষেত্রেও দু’দলের পারফরমেন্স সমান হয় তখন যে দল শেষ বলে সবচেয়ে বেশি রান নিয়েছে তারা জয়ী হবে।

৩. যদি উপরে উল্লিখিত দুটি বিষয়েও দু’দলের পারফরমেন্স একই ধরণের হয় তখন মূল ম্যাচে যে দল সবচেয়ে কম নো বল দিয়েছে তারা বিজয়ী হবে।

ইংল্যান্ডকে যে কারণে জয়ী করা হলো

সুপার ওভারের নিয়মানুসারে মূল ম্যাচে যে দল সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে সেই বিবেচনায় ফল নির্ধারিত হবে। সেই হিসেবে নিউজিল্যান্ড চার হাঁকায় ১৪টি আর ছক্কা ২টি। অন্যদিকে ইংল্যান্ড চার হাঁকায় ২২টি আর ছক্কা হাঁকায় ২টি।

নিউজিল্যান্ডের তুলনায় ৮টি চার বেশি হাঁকানোয় নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় বিশ্বকাপের স্বাগতিক ইংল্যান্ড।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply