আলুর হিমাগার ডিমে ভর্তি, চৌধুরী হিমাগারকে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড

|

বগুড়া ব্যুরো:

অনুমোদন রয়েছে আলু সংরক্ষণের। কিন্তু যে পরিমাণ আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সংরক্ষণে রাখা হয়েছে মুরগির ডিম। এভাবে অনুমোদনহীনভাবে ডিম সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির দায়ে বগুড়ার চৌধুরী হিমাগারকে দেড় লাখ টাকা অর্থ দণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার বিকেলে শহরের বাদুরতলা এলাকায় আলু সংরক্ষণের এই হিমাগারে অভিযানে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় আদালত দেখেন আলুর পরিবর্ত হিমাগারের বড় অংশ জুড়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে হাজার হাজার খাঁচি মুরগির ডিম।

আদালতের নির্বাহী হাকিম এটিএম কামরুল ইসলাম যমুনা নিউজকে জানান, হিমাগারটির অনুমোদন কেবল আলু সংরক্ষণের জন্য। কিন্তু তারা অবৈধপন্থায় এখানে ডিম সংরক্ষণ করছেন। অবৈধপন্থায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডিম সংরক্ষণে তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। তাই প্রচলিত আইনে হিমাগার কর্তৃপক্ষকে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এর আগে শাখারিয়া ইউনিয়নের গোপালবাড়ী গ্রামে আর.কে. ইউনানী ল্যাবরেটরিজ নামে একটি অনুমোদনহীন ভেষজ ওষুধ কারখানায় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখান থেকে জব্দ করা হয় ভেজাল ওষুধ তৈরির সরঞ্জাম ও লেবেল।

পরে শহরের চারমাথা বাস টার্মিনাল এলাকায় বিসমিল্লাহ দই ঘরে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ দই ও মিষ্টান্নের সন্ধান পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে ওই প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply