তামিমের জ্বলে উঠার প্রতীক্ষায় ভক্তরা

|

বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকা করলে শুরুর দিকে যে নামটি আসবে সেটি তামিম ইকবাল।তামিম সফল তো বাংলাদেশ সফল। গত কয়েক বছর ধরে এমনটিই হয়ে আসছে।

বাংলাদেশ দলের ড্যাশিং এই ওপেনার ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত ৪৮ মাসে অসাধারণ সার্ভিস দিয়েছেন দলকে। এ সময়ে ৫২ টি একদিনের খেলায় তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ২৫১১ রান।

দেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান এই সময়ে ওয়ানডেতে তার কাছাকাছি রানও করতে পারেননি। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শেষ চার বছরে সর্বাধিক রান করা তামিম ওই সময়ে বিশ্বের সফলতম ১৩ নম্বর ব্যাটসম্যানও। এটাই শেষ নয়, এই চার বছরে তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৭ শতক ও ১৮টি অর্ধশতক। ওয়ানডেতে তার গড় রান ৫৭.০৬।

সেই তামিমই এবার বিশ্বকাপে নিষ্প্রভ।প্রথম তিন ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড আর ইংল্যান্ডের সঙ্গে তামিম লম্বা কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি। একটি হাফ সেঞ্চুরিও নেই। তিন ম্যাচে তামিমের সংগ্রহ ১৬, ২৪ ও ১৯। সোজা কথায় বলা যায়, বৈশ্বিক আসরে এখনও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি বাংলাদেশ দলের এ ব্যাটিং নিউক্লিয়াস। এ নিয়ে হৈচৈ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তোলপাড়।

এ নিয়ে কিছুটা চাপে আছেন তামিমও। ভালো খেলতে আছেন মুখিয়ে আছেন। প্র্যাকটিসে সবার আগে এসে নিজেকে ঝালিয়ে নিয়েছেন। সোমবার নেটে ৭৫ মিনিট টানা ব্যাটিং করেছেন নিজেকে ফিরে পাবার দৃঢ় প্রত্যয়ে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজকের ম্যাচে তামিমের কাছে প্রত্যাশা বেশি ভক্তদের। তাই রানে ফেরার তাগিদ অনুভব করছেন তামিম নিজেও। শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচেই রানে ফিরতে চান তিনি। ভক্তদের একটু ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার সাকিব-সৌম্যরা ব্রিস্টলের সেন্ট্রাল উইকেটে অনুশীলন করেন। পাশের নেটে তামিম ইকবাল দেড় ঘণ্টা একনিষ্ঠ মনে ব্যাটিং করেন। ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে আলাদা করে সময় কাটান দেশসেরা ওপেনার। স্পিডআর্ম দিয়ে একের পর এক বাউন্স দিয়ে তামিমের শট ঝালিয়ে নেন ম্যাকেঞ্জি।

বাজে পারফরম্যান্সে ধৈর্য হারাচ্ছেন না তামিম ইকবাল। বিশ্বাস আছে নিজের ব্যাটিংয়ের ওপর। শ্রীলংকার বিপক্ষের ম্যাচেই রানে ফিরতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন এ ওপেনার। তামিম মনে করেন, তিনিসহ যারা খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তারা জ্বলে উঠলেই স্বরূপে ফিরবে বাংলাদেশ।

তামিম বলেন, ‘যেহেতু এটা বিশ্বকাপ, সে কারণে মনে হয় ধৈর্য জিনিসটা কম হয়ে যায়। এটিই বলব- সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। খালি আমার প্রতি না, সবার প্রতি।’

তামিম ইকবাল বলেন, ‘বিশ্বকাপ একটা বড় স্টেজ। যেখানে সবাই পারফরম করতে চায়, সবাই ভালো করতে চায়। আমারও অনেক প্রত্যাশা আছে- আমি ভালো করতে চাই। অনেক সময় অনেক কিছু চেষ্টা করেও হয় না। আমাদের কাজ হলো চেষ্টা করতে থাকা, কোনো না কোনো সময় তো হবে। আমার ফোকাস পুরোপুরি অনুশীলনের দিকে। যে ভুলগুলো করছি যতটুকু মিনিমাইজ করা আর সে রকম স্টার্ট পেলে দেখা যাক ইনশাল্লাহ।’

ভক্ত-সমর্থকদের একটু ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তামিম। তিনি জানেন কীভাবে কামব্যাক করতে হয়। অভিজ্ঞতা আছে তার, ইংল্যান্ডের পরিবেশ চেনা। তামিম আশাবাদী তিনি তার মতো করেই ফিরবেন।





Leave a reply