বিশ্বকাপে নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন মাশরাফি

|

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো খেলে হারে টাইগাররা। শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাশরাফিদের পারফরমেন্স ছিল লেজেগুবরে। বোলিং-ফিল্ডিং ছিল যাচ্ছে তাই। পুরো দলকে মনে হয়েছে ছন্নছাড়া।

যেকোনো ম্যাচে এখন ভক্তরা তাকিয়ে থাকে টিমের সিনিয়র সদস্যদের পারফরমেন্সের দিকে। তবে এবার তামিম-মাহমুদুল্লাহর মতো অভিজ্ঞদের ফর্ম কিছুটা দুচিন্তায় ফেলে দিচ্ছে ভক্ত-সমর্থকদের।

এমনকি মাশরাফির হাত থেকেও দলকে জয় এনে দেওয়ার মতো পারফর্ম এখনও দেখা যায়নি।

বিশ্বকাপে প্রথম তিন ম্যাচে বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের সংগ্রহ ১৬, ২৪ ও ১৯। সোজা কথায় বলা যায়, বৈশ্বিক আসরে এখনও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি বাংলাদেশ দলের এ ব্যাটিং নিউক্লিয়াস।

অভিজ্ঞদের মধ্যে ব্যাট হাসছে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকের। সাবিক তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি ও দুটি অর্ধশতকসহ করেছেন ২৬০ রান, যা বিশ্বকাপে কোনো ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বেশি রান।

তবে বড় আসরে ভালো খেলার অভিজ্ঞতা থাকা মাহমুদুল্লাহ লম্বা ইনিংস খেলতে পারছেন না। তরুণদের মধ্যে মিডলঅর্ডার মোহাম্মদ মিঠুন তিন ম্যাচে করেছেন ২১, ২৬ ও ০ রান।

এ নিয়ে চিন্তিত অধিনায়ক মাশরাফিও। এ বিষয়ে মাশরাফি সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গেরান্টি দিয়ে কেউ ভালো খেলতে পারবে না। দলে সিনিয়রদের দায়িত্ব বেশি থাকা। সবাই সেটা ফিলও করছে। তবে ভালো খেলার কথা আগে থেকে বলা যায় না।’

নিজের খেলা নিয়েও খুশি নন মাশরাফি। ভক্ত-সমর্থকদের সমালোচনা নয় বরং ভালো করতে না পারাই পোড়াচ্ছে অধিনায়ককে, ‘পারফর্ম করতে না পারলে কথা শুনতে হবে। প্রথম দুই ম্যাচে উইকেট অনুযায়ী স্পিনাররা ভালো বোলিং করেছে। ওই দুই ম্যাচে তাই পুরো ১০ ওভার বোলিং করিনি। শেষ ম্যাচে দশ ওভার বল করার দরকার ছিল-করেছি। প্রথম ৭-৮ ওভার বলও তুলনামূলক ভালো হয়েছে। আমি নিজের থেকে আরও ভালো পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করি। নিজের পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট নই। মানুষের কথ বলার থেকে আমি তাই নিজেই নিজেকে বেশি প্রশ্ন করছি। মানুষের কথা বলার থেকে নিজের পারফরম্যান্স ভালো না হলেই বেশি খারাপ লাগে।

বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আজ শ্রীলংকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচ জয়ের পর নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে টাইগাররা। শ্রীলংকার বিপক্ষে তাই জয়ে ফিরতে হবে মাশরাফিদের। তবে বৃষ্টি এ ম্যাচের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারে। বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে গেলে তা বাংলাদেশের জন্য বড় ক্ষতি বলে উল্লেখ করেন মাশরাফি।

ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রথম তিন ম্যাচের একটি ভেসে গেলে অত সমস্যা হতো না। তবে এ ম্যাচটা পণ্ড হলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে বাংলাদেশের। আশা করছি, আবহওয়া পূর্বাভাস যাই বলুক-ম্যাচটা যেন হয়।

শ্রীলংকার বিপক্ষে সবশেষ তিন দেখায় জিতেছে বাংলাদেশ। নিদাহাস ট্রফিতে দুই ম্যাচে এবং এশিয়া কাপে লংকানদের হারিয়েছে টাইগাররা। তবে বিশ্বকাপে তিনবারের দেখায় একবারও জয় পায়নি তারা। এ ম্যাচে জিততে হলে তাই রেকর্ড ব্রেক করতে হবে। এক্ষেত্রে সিনিয়র-জুনিয়রদের সম্মিলিত দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply