ইউপি সদস্যের ছড়ানো অপবাদ সইতে না পেরে আত্মহত্যা

|

রাঙামাটি প্রতিনিধি।

মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরে নদীতে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মুন্নি আক্তার ফাতেমা (১৬) নামের এক শিক্ষার্থী। শনিবার সকালে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনার কয়লার ডিপো এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যা করার আগে পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি চিরকুট ও দিয়ে যায় কে.আর.সি উচ্চ বিদ্যালয় থৈকে মাধ্যমিক পাস করা এ শিক্ষার্থী।

নিহত মুন্নির ভাই মোশারফ হোসেন জানান, তার বোনের সাথে সম্প্রীতি বন্ধুত্ব হয় চট্টগ্রামের ইপিজেট এলাকার হাফেজ এমরান হোসেনের ছেলে মো. ফরহাদের (১৭)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে কাপ্তাই আসে ফরহাদ। মুন্নির বাড়ির সামনে কিচ্ছুক্ষন কথা বলে তারা, কিন্তু বিষয়টিকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে স্থানীয় একজন। পরে ঘটনার জেরে ডেকে আনা হয় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.আজিজুল হকে।

ঘটনা এখান থেকেই শুরু, নানা অপবাদ আর মিথ্যাচার ছড়ানো হয় বলে অভিযোগ করে নিহত মুন্নির পরিবার। এমনকি, ঘটনার সমাধান করে দেওয়ার অজুহাতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ইউপি সদস্য আজিজুল হক। পরিবারের অভিযোগ, সামাজিক এই অপবাদ সইতে না পেরে কর্ণফুলি নদীতে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে ফাতেমা। পরে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরী দল টানা ১১ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালানোর পর বিকাল ৫টার দিকে ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে।

তবে চন্দ্রঘোনা ইউপি সদস্য মো.আজিজুল হক তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। অন্যদিকে বাড়ির সামনে স্বাভাবিকভাবে ছেলে মেয়ে উভয়কে দেখার পরে কেন তাদের এভাবে হয়রানি করা হলো তা জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ আহমেদ রাসেল মুঠো ফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply