ছেঁড়া ফাটা নোট নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন প্রজ্ঞাপন

|

অপ্রচলনযোগ্য, মিউটিলেটেড বা ত্রুটিপূর্ণ ও দাবিযোগ্য নোটের বৈশিষ্ট সংশোধন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই সংশোধনী অনুযায়ী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে যথাযথভাবে নোট বাছাই (সর্টিং) করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন বুধবার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকে গ্যারান্টি হিসাবে ও চেস্ট হিসাবে নোট জমা দেয়ার সময় তা সংশোধিত বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী জমা দিতে হবে। এ নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

অপ্রচলনযোগ্য নোটের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে- অত্যধিক ময়লাযুক্ত নোট, নোটে অল্প মরিচার চিহ্ন, অল্প রং লাগানো নোট, নোটের উপর অত্যধিক লেখা, একাধিক সিল বা দাগ ও সামান্য ছেঁড়া বা ক্ষুদ্র ছিদ্রযুক্ত নোট। এ ধরনের নোটে ময়লার জন্য এক বা একাধিক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য অস্পষ্ট হলে তা অত্যধিক ময়লাযুক্ত নোট বলে বিবেচিত হবে। আর রঙের জন্য আসল নোটের বৈশিষ্ট্য যাছাই করতে সমস্যা হলে তা অল্প রং লাগানো নোট বলে বিবেচিত হবে।

মিউটিলেটেড নোটের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে- ছেঁড়া বা টেপযুক্ত নোট, দুই খণ্ডে খণ্ডিত, বড় ছিদ্রযুক্ত, তেলযুক্ত নোট।

এ ধরনের নোটের ক্ষেত্রে নোটের পরিমাপ ঠিক রেখে ছেঁড়া অংশে নোটের পেছনের দিকে লাগানো সরু টেপ বা সাদা কাগজযুক্ত নোট, যাতে আসল নোটের বৈশিষ্ট্য যাচাই করতে কোনো সমস্যা না হয়। এরূপ ক্ষেত্রে তা ছেঁড়া বা টেপযুক্ত নোট বলে বিবেচিত হবে। এছাড়া দুই খণ্ডে খণ্ডিত নোটের ক্ষেত্রে একইভাবে টেপ বা সাদা কাগজে লাগানো নোট বা উভয় অংশ সন্দেহাতীতভাবে একই নোটের অংশ বলে বিবেচিত হয় তা দুই খণ্ডে খণ্ডিত নোট এবং বড় ছিদ্রযুক্ত নোটের ক্ষেত্রে ছিদ্রের ফলে নোটের অনুপস্থিতির পরিমাণ নোটের আয়তনের ১০ শতাংশের কম হলে তা বড় ছিদ্রযুক্ত নোট বলে বিবেচিত হবে।

দাবিযোগ্য নোটের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে- দুয়ের অধিক খণ্ডে খণ্ডিত নোট, নোটের কোনো অংশ অনুপস্থিত যার পরিমাণ নোটের আয়তনের ১০ শতাংশ বা এর বেশি। আগুণে পোড়া বা আগুনের আঁচ লাগানো নোট, ড্যাম্প বা অত্যধিক নরম মরিচাযুক্ত নোট এবং নোটে বেশি রং লাগানো। এসব বৈশিষ্ট্যের মধ্যে নোটে রং লাগানোর ক্ষেত্রে আসল নোটের বৈশিষ্ট্য যাচাই করতে সমস্যা হলে তা বেশি রং লাগানো নোট বলে বিবেচিত হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply