মামিকে হত্যার পর পেট কেটে ভাগ্নের আত্মহত্যা

|

বগুড়ার শিবগঞ্জে মামিকে হত্যার পর নিজেই নিজের পেট কেটে আত্মহত্যা করেছেন আপেল মিয়া (২২) নামে এক যুবক। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ভাগকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আলেয়া বেগম (৩৫) উপজেলার ভাগকোলা গ্রামের দিনমজুর শাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। আপেল মিয়া শাহিদুলের ভাগ্নে। সে শিবগঞ্জের পার্শ্ববর্তী টেপাগাড়ি গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। সে পেশায় কাঠমিস্ত্রি।

শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, ভাগকোলা গ্রামের দিনমজুর শাহিদুল ইসলামের দুই স্ত্রী। বড় স্ত্রীর নাম রুবিয়া খাতুন ও ছোট স্ত্রী আলেয়া বেগম।

আপেল মিয়া মামা শাহিদুল ইসলামের বাড়িতেই থাকতেন। সে অবিবাহিত ছিল।

আপেল তার মামি আলেয়া বেগমের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে। এটা জানাজানি হলে সাবেক ইউপি সদস্য বাকী সালিশবৈঠক ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।

ইউপি সদস্য আরও জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আলেয়া বাথরুমে গোসল করছিলেন। এ সময় অনৈতিক সম্পর্কের চেষ্টা করলে মামি বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আপেল কাঠ কাটার বাটাল এনে মামির ঘাড়ে কয়েকটি আঘাত করেন। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার করলে আপেল ওই বাটাল হাতে দৌড় দেয়। পরে ধাওয়া করলে তিনি ভাগকোলা ক্লিনিকের কাছে এসে নিজের পেটে ওই বাটাল ঢুকিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এ ঘটনার পর মামা শহিদুল ইসলাম বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে পারেননি।

শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, পারিবারিক কোনো কলহে ভাগ্নে আপেল বাটালের উপর্যুপরি আঘাতে মামি আলেয়া বেগমকে হত্যা করে। এর পর আপেল নিজেই পেটে বাটালের আঘাত করে আত্মহত্যা করেছে। নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply