উইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

|

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়ে আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। নিজেদের ৩য় ম্যাচে উইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফী বাহিনী। ক্যারিবীয়দের হয়ে শেই হোপ আর জেসন হোল্ডার হাফ-সেঞ্চুরি করলেও মুস্তাফিজ, মাশরাফীদের বোলিং তোপে ৯ উইকেটে ২৪৭ রানের বেশি করতে পারেনি উইন্ডিজ।

সোমবার ত্রিদেশীয় সিরিজে উইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয় পায় মাশরাফীরা। যদিও তামিম-সৌম্যের উড়ন্ত সূচনার পর দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। মাত্র এক রানের ব্যবধানে সাজঘরে সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চিন্তার ভাজ পড়েছিল বাংলাদেশ শিবিরে।

আর সেই কঠিন পরিস্থিতে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে দলের হাল ধরেন মিঠুন। পঞ্চম উইকটে তারা ৮৩ রানের জুটি গড়েন।

এক উইকেটে ১০৬ রান করা বাংলাদেশ, এরপর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায়। অ্যাসলে নার্সের অফ স্পিন সামলাতে পারছেন না টাইগাররা। এই ক্যারিবীয় স্পিনার ৮ ওভারে ৩৮ রানে বাংলাদেশ দলের টপঅর্ডার তিন ব্যাটসম্যানকে (তামিম-সাকিব-সৌম্য) সাজঘরে ফেরান।

২৪৮ রান করলেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত হবে বাংলাদেশ দলের। এমন সমীকরণের ম্যাচে উদ্বোধনীতে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল।

ইনিংসের নবম ওভারে অ্যাসলে নার্সের প্রথম দুই বলে ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারি হাঁকান তামিম ইকবাল। এই অফ স্পিনারের চতুর্থ বলে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হন তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে ২১ রান করেন তামিম।

তামিম ইকবালের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ফের ৫২ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। ৩৫ বলে ২৯ রান করে ফেরেন সাকিব। অ্যাসলে নার্সের তৃতীয় শিকারে পরিনত হওয়ার আগে ৬৭ বলে ৪টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৪ রান করেন সৌম্য।

এর আগে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের সামনে ২৪৭ রানেই গুটিয়ে গেল উইন্ডিজ।

এর আগে সাইফুদ্দিন ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়ায় ওয়ানডে অভিষেক হয় পেসার আবু জায়েদ রাহীর।

উইন্ডিজ ইনিংসে প্রথম আঘাতটা হানেন মাশরাফী বিন মোত্তর্জা। বিধ্বংসী হওয়ার আগেই দলীয় ৩৫ রানে ফেরান সুনীল অ্যামব্রিসকে। এরপর ড্যারেন ব্র্যাভোর ক্যাচ মিস করাটা নিজেই বল হাতে পুষিয়ে দেন মেহেদী মিরাজ।

মিডল অর্ডারে আঘাতটা হানেন মোস্তাফিজুর রহমান। জোড়া আঘাতে রোস্টন চেজ আর জোনাথন কার্টারকে ফেরালে ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারায় উইন্ডিজ।

এরপর উইন্ডিজের ত্রাতা হয়ে ওঠেন শেই হোপ আর জেসন হোল্ডার। গড়ে তোলেন ১০০ রানের জুটি।

উইন্ডিজের বড় স্কোরের স্বপ্নটা থমকে যায় মাশরাফীর বোলিংয়ে। ৮৭ করা শেই হোপ আর ৬২ করা জেসন হোল্ডারকে ফেরান ক্যাপ্টেন ম্যাশ। অধিনায়ক হিসেবে উইকেট সংগ্রহের তালিকায় ওয়াকার ইউনিসের সাথে ৪ নম্বরে উঠে এলেন মাশরাফী।

টেলএন্ডারকে ছেটে ফেলার কাজটা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজেকে ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে শেষপর্যন্ত তুলে নেন ৪ উইকেট।

বাংলাদেশ দলের হয়ে মোস্তাফিজ নেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট শিকার করেন মাশরাফী। একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান। তবে অভিষেক ম্যাচে কোনো সাফল্য পাননি আবু জায়েদ রাহী। ৯ ওভারে ৫৬ রান খরচ করেন এই পেসার।

১৫ মে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। আর ১৭ মে ফাইনালে আবারও উইন্ডিজের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২৪৭/৯ (শাই হোপ ৮৭, জেসন হোল্ডার ৬২, অ্যামব্রিস ২৩; মোস্তাফিজ ৪/৪৩, মাশরাফি ৩/৬০)।

বাংলাদেশ: ৪৭.২ ওভারে ২৪৮/৫ (মুশফিক ৬৩, সৌম্য ৫৪, মিঠুন ৪৩, মাহমুদউল্লাহ ৩০*, সাকিব ২৯, তামিম ২১, সাব্বির ০*)।

ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী।

যমুনা অনলাইন: আরএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply