অ্যাসাঞ্জের মামলা পুনঃতদন্তের সিদ্ধান্ত সোমবার

|

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলার পুনঃতদন্ত করা হবে কিনা, সে বিষয়ে সোমবার নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে সুইডেন।

ধর্ষণের মামলা করা ওই নারীর আইনজীবীর অনুরোধে এটির পুনঃতদন্ত শুরু হতে পারে বলে সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ওই মামলার পুনঃতদন্ত হবে কিনা, সে ব্যাপারে সুইডেনের সরকারি কৌঁসুলি পর্ষদের সহকারী পরিচালক এভা-মারি পারসন সিদ্ধান্ত দেবেন।

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রিত থাকার ফলে মামলাটি আর এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না মনে করে দুই বছর আগে সেটি বাদ দেয়া হয়েছিল। সুইডেনে তার বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় জামিনে থাকার সময় ২০১২ সাল থেকে দূতাবাসটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ।

তখন তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, তাকে যদি ব্রিটেন থেকে ইকুয়েডরে প্রত্যর্পণ করা হয়, তবে মার্কিন বাহিনী তাকে আটক করতে পারে। গত মাসে তার শরণার্থী মর্যাদা তুলে নেয়া হলে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করার পর পুরনো ওই ধর্ষণ মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করা হয়।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ২০১০ সালে উইকিলিকসের এক সম্মেলনে অ্যাসাঞ্জ ওই নারীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ আনা হয়। তবে শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্মতিতেই তিনি ওই নারীর সঙ্গে শারীরিকভাবে মিলিত হন।

সুইডিশ আইন অনুযায়ী, আগামী বছর পর্যন্ত ওই ধর্ষণ মামলা চালানোর সময় পাওয়া যাবে। মামলাটি পুনঃতদন্তের সিদ্ধান্ত হলে সুইডেন অ্যাসাঞ্জকে তাদের কাছে প্রত্যর্পণের ব্যাপারে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ জানাবে।

জামিন নিয়ে পালানোর অভিযোগে ৪৭ বছর বয়সী উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতাকে ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি লন্ডনের বেলমার্স কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

এ ছাড়া ২০১০ সালে পেন্টাগন ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাখ লাখ সামরিক ও কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রেও অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা চলছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply