ফণির প্রভাবে গাইবান্ধায় ঝড় : ফসল ক্ষতিগ্রস্থ

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে গাইবান্ধা জেলায় বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। মাঝে মাঝে বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে অব্যাহত বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এতে ঘর থেকে বের হতে না পেরে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

অব্যাহত ঝড়ো বৃষ্টি ও মাঝে মাঝে ভারি বাতাসের কারণে পাকা ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ভেঙ্গে গেছে গাছপালা ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি। ঝড়ো বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুর থেকে গাইবান্ধা জেলা সদর ও ছয় উপজেলায় বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করে। মাঝে মাঝে বয়ে যাচ্ছে দমকা হাওয়া। আজও শনিবার (৪ মে) বিকেল ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টি আর বাতাস অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় গাইবান্ধা জেলা ও উপজেলায় সতর্ক অবস্থা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত সরকারি-আধা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এরআগে, গত দুইদিন ধরে জেলা এবং উপজেলায় সতর্কতামূলক বার্তা প্রচার করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

শনিবার বিকেল ৩টার দিকে মুঠোফোনে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত চলা অব্যাহত বৃষ্টি ও বাতাসে বড় ধরণের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এছাড়া জেলায় কোথাও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঝড়বৃষ্টিতে সামান্য কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।

এছাড়া ফণীর বিপদ যা ছিল তা কেটে গেছে তাই মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহবান জানান তিনি। সেই সাথে যে কোন তথ্য জানাতে ০১৭১৮৪৪৪০৯০ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply