আল নুর মসজিদে বক্তৃতা দিলেন প্রিন্স উইলিয়াম

|

নিউজিল্যান্ডে সফররত প্রিন্স উইলিয়ামকে ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার পর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একটি শিশু জিজ্ঞাসা করছে, আপনার কি একটি মেয়ে আছে? জবাবে তিনি বলছেন, হ্যাঁ, আমার একটি মেয়ে আছে, তার নাম শার্লটন। সে তোমার সময়বয়সী হবে।

কিনসিংটন প্রাসাদের একটি মর্মস্পর্শী ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পর চলতি সপ্তাহের শুরুতে কোমা থেকে জেগে ওঠে এলেন।

বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডে পা রাখার পর অকল্যান্ডের স্টিারশিপ শিশু হাসপাতালে অঘোষিত পরিদর্শনে যান প্রিন্স উইলিয়াম।

সেখানে তিনি পাঁচ বছর বয়সী শিশু আলেন আলসাথি ও তার বাবা ওয়াসিমের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের দুজনই ১৫ মার্চের ওই হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে প্রিন্স উইলিয়াম বলেন, তীব্র যন্ত্রণার মধ্যেও আপনারা সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছেন, ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। এক মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আপনারা যা দেখিয়েছেন, তা অবশ্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহগুলোতে আপনার বিশ্বকে যা শিক্ষা দিয়েছেন, সেজন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের আশা ও হতাশার সময়েও আমি পাশে থাকব। যারা বেঁচে গিয়েছেন, তাদের আমি সমর্থন করে যাব।

তিনি যখন আল নুর মসজিদ পরিদর্শনে যান, তখন সেখান কড়া নিরাপত্তা ছিল। মসজিদের ঈমাম জামাল ফাওদা, হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া ফরিদ আহমেদ ও নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডান তাকে স্বাগত জানান।

ব্রিটিশ প্রিন্স বলেন, এখানে যে নৃশংসতা ঘটেছে, তা বিকৃত মতাদর্শ থেকেই উদ্বুদ্ধ, যার কোনো সীমান্ত নেই। উগ্রপন্থার সব ধরনের রূপ অবশ্যই পরাস্ত হবে।

তিনি যখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখন দর্শক সারিতে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডানকেও দেখা গেছে।

৯৩ বছর বয়সী দাদী রানি এলিজাবেথের পক্ষে দুইদিনের নিউজিল্যান্ড সফরে যান প্রিন্স উইলিয়াম। তিনি বলেন, বৈশ্বিক বিদ্বেষের মতাদর্শ আমাদের বিভিক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply