স্টাইল করে চুল-দাড়ি কাটায় ওসির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেন ইউএনও

|

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে স্টাইল করে চুল, দাড়ি ও গোফ কাটার ওপর থানার ওসির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঝোটন চন্দ।

সরকারি বিধিমালায় এ আদেশ পড়ে না, বিধায় নিষেধাজ্ঞাটি তুলে নেয়া হয়।

৭ মার্চ ভূঞাপুর উপজেলা শীল সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ থানার ওসি স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়, স্টাইল করে চুল, দাড়ি ও গোফ কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যে শীল (নাপিত) এ ধরনের কাজ করবেন, তাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলেও জানানো হয়।

বিষয়টি প্রথমে যোগাযোগমাধ্যম ও পরে গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা হয়। তবে এ ধরনের নীতি সরকারি বিধিমালায় না থাকায় তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

২০ মার্চ বিষয়টি ইউএনওর নজরে আসে। নাপিত নেতৃবৃন্দ ও ওসির সঙ্গে আলোচনা করে গত ২২ মার্চ রাতে আদেশটি তুলে নেয়ার আদেশ দেন ইউএনও।

ভূঞাপুর উপজেলা শীল সমিতির সভাপতি শেখর চন্দ্র শীল বলেন, ‘স্টাইল করে চুল কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞার খবর প্রচার হওয়ার পর ইউএনও আমাদের ডেকে নেন। ইউএনওর কথায় সেটি প্রত্যাহার করা হয়।

তার নির্দেশনায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশও প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু শীলরা এখন থেকে আর বখাটে স্টাইলে কারও চুল কাটবেন না।

ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, অভিভাবক ও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বখাটে স্টাইলে চুল কাটা নিয়ে বিরক্ত ছিলেন। পরে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শীল সমিতি একটি নোটিশ লিখে আনেন। তাতে আমি স্বাক্ষর করি।

পরে বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ হলে বিতর্ক দেখা দেয়। ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সেই আদেশ তুলে নেয়া হয়েছে।

ইউএনও ঝোটন চন্দ বলেন, সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর সোশ্যাল মিডিয়াতেও ঝড় তোলে চুলের স্টাইল নিয়ে দেয়া ওই নির্দেশনা।

এ রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা সরকারি বিধিমালায় না থাকায় ওসির সঙ্গে আলোচনা করে সেই নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply