ফেনীর প্রথম ভিক্ষুক মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে ফাজিলপুর ইউনিয়নকে। বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন প্রাঙ্গণে প্রায় ২০ জন ভিক্ষুককে বিভিন্ন উপকরণ ও অর্থ দিয়ে পুনর্বাসনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেয়া হয়। আজ থেকে পুরো ইউনিয়নে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ভিক্ষুক পুনর্বাসন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান। ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মজিবুল হক রিপনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক দেবময় দেওয়ান, ফেনী সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নুরের জামান চৌধুরী।
ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির দাতা দিদারুল আলম, শাহজাহান লিটন, আবদুল মান্নান বাচ্চু, আবদুল কুদ্দুস রাসেল, ফেনী জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল আফসার আপন প্রমুখ।
এসময় ওয়ার্ড মেম্বার গোলাম মাওলা, বেলায়েত হোসেন, সংরক্ষিত নারী সদস্য তাহমিনা আক্তার, স্বপ্না রানী মজুমদার, কামরুজ জাহানসহ ইউপি সদস্য গন, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গসহ বিপুল সংখ্যক জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভিক্ষুকদের হাতে গরু, রিক্সা, হাস-মুরগী, বাঁশ ও বেতের সামগ্রী, কাপড়, পাটি পাতাসহ নগদ অর্থ তুলে দেন।
ফাজিলপুর ইউনিয়নের দানশীল গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলেন, ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনে আমরা সহযোগিতা করেছি, কারণ একজন ব্যাক্তি ভিক্ষা না করে কর্ম করে তার জীবিকা নির্ভাহ করুক। ভিক্ষা না করার জন্য ধর্মেও বলা হয়েছে।
ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মজিবুল হক রিপন বলেন, ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বারের মাধ্যমে ভিক্ষুক জরিপ করে প্রায় ২০ চিহ্নিত ভিক্ষুকদের মাসে ৩০ কেজি করে ভিজিডি চালের ব্যবস্থা করা হয়। যে যেসব কাজে দক্ষ তাকে সে হিসেবে পুনর্বাসনের রূপ রেখা তৈরি করা হয়। দক্ষতা হিসেবে পূঁজি ও সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছে। এজন্য যত অর্থের প্রয়োজন হবে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৬ জন দাতা থেকে প্রাপ্ত তহবিল থেকে তা সরবরাহ করবেন। দুই বছর যাবত তাদের কর্মকাণ্ড মনিটরিং করা হবে।
Leave a reply