মেয়রের আশ্বাসে ৭ দিনের জন্য শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি স্থগিত

|

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের আশ্বাসে ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিইউপি’র শিক্ষার্থী আবরার ছাত্র নিহতের প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কসহ ৮ দফা দাবিতে দিনভর রাজপথে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। প্রগতি সারণি, শাহবাগ, ধানমণ্ডি, সাইন্সল্যাব, পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর ভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয় তারা।

মঙ্গলবার যেখানে প্রাণ যায় আবরারের সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সেই এলাকা, প্রগতি সরণিতে জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড হাতে শ্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরাও যোগ দেন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে।

সাড়ে এগারোটার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে আসেন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সঙ্গে পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জমান মিয়া আর ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস, বিইউপি’র উপাচার্য মেজর জেনারেল ইমদাদুল হক বারী। শুরুতেই দাবি পূরণের অংশ হিসাবে প্রগতি সরণিতে একটি ফুটওভার ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তারা।

এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়া হয়। প্রায় ঘন্টাখানেক কথা বলার পরও শিক্ষার্থীদের বোঝাতে ব্যর্থ হন তারা। এক পর্যায়ে হাল ছেড়ে দিয়ে ফিরে যান মেয়রসহ দায়িত্বশীলরা। আগের অবস্থানেই থাকেন আন্দোলনকারীরা।

একই দাবিতে, ধানমন্ডির সাইন্সল্যাব এলাকার বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ কর শিক্ষার্থীরা। এলিফ্যান্ট রোডে শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে যানবাহন ও চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করেন। সিটি কলেজের সামনেও ছিল তাদের অবস্থান। এসময় অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য জরুরি পরিবহনের জন্য আলাদা লেন তৈরি করা হয়। এছাড়া ফার্মগেট, ধানমন্ডি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রায়সাহেব বাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে অবস্থান নেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় দখলে নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে আশপাশের পুরো এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর নাগাদ শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা জানান ডাকসু’র নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

আন্দোলনরতরা বলছেন, গেল বছর রমিজ উদ্দিন স্কুলের শিক্ষার্থীরা নিহত হওয়ার পর যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়া হলে ঝরতো না আবরের প্রাণ। তবে দিনশেষে মেয়রের আশ্বাসের ওপর আস্থা রেখে আপাতত কর্মসূচি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষার্থীরা


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply