নির্মাণের ১০ দিন না যেতেই ভেঙে গেল কালভার্ট!

|

নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণার কলমাকান্দা থেকে সাউদপাড়া সড়কে রমজান মিয়ার বাড়ির পাশে একটি কালভার্ট নির্মাণের ১০ দিন না যেতেই ভেঙে গেছে। আর এ ঘটনার ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ নিম্নমানের কাজ হওয়ার কারণে ভেঙে যায় ওই কালভার্টটি। পুনরায় নুতন করে নির্মাণ করে দেয়ার দাবিও জানান তারা।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত গণস্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগও করেছেন।

কলমাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সূত্রে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় সরকারের সহায়তা প্রকল্পের (এলজিএসপি) আওতায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কলমাকান্দা হতে সাউদপাড়া সড়কে ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৬ ফুট দীর্ঘ ও ৩.৫ ফুট চওড়া একটি কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। আর ওই প্রকল্প কমিটির সভাপতি হন কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মার্জিয়া আক্তার।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) কালভার্টটির নকশা ও প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করে দেয়। নকশায় ৩ ফুট উচ্চতার ওই কালভার্টের নিচে রড ও সুরকির ঢালাই দিয়ে দুই পাশে দুইটি স্তরে ইটের দেয়াল আর ইটের দুটি দেয়ালের ওপর পাকা ঢালাই দিয়ে কালভার্টটি নির্মাণের কথা রয়েছে।

সাউদপাড়া গ্রামের দিনমজুর মো. ময়না মিয়া জানান, এই রাস্তাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে ৫/৭টি গ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সহস্রাধিক লোক প্রতিদিন উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করে। এছাড়া রবি শস্য, মিষ্টি আলু ও বোরো ধানের মৌসুমে হাওর থেকে বিভিন্ন এলাকার লোকজন এ রাস্তা দিয়ে ফসল নিয়ে যায়।

নকশার বাইরে কোনও কাজ হয়নি দাবি করে কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মারজিয়া আক্তার জানান, কালভার্টটি নির্মাণ করার পর একটি আলু ভর্তি লড়ি যাওয়ার কারণে কালভার্টটি ভেঙে যায় তবে দ্রুত এটি মেরামত করে দেওয়া হবে।

উপজেলা এলজিইডি’র কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী ইমরান হোসেন মোবাইল মুঠোফোনে জানান, কালভার্টটির নির্মাণ কাজ আমাদের তদারকি করার কথা ছিল। কিন্তু এর নির্মাণ কাজ শুরু ও শেষ হওয়ার বিষয়ে ইউপি সদস্য আমাদের কিছুই জানায়নি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করব, কাজে কোন প্রকার ত্রুটি পাওয়া গেলে কাজের বিল দেয়া হবে না।

এ বিষয়ে কলমাকান্দা ইউপির চেয়ারম্যান শেখ গোলাম মৌলা জানান, আমাদের সাথে যোগাযোগ না করে ওই ইউপি সদস্য উনার মনগড়া ভাবে কাজ করিয়েছেন। কালভার্টটি সিডিউল মোতাবেক পুণরায় নির্মাণ করে বিল নিতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, কালভার্ট নির্মাণে অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগটি পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যমুনা অনলাইন: আরএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply