মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে ট্রাম্পের এ কেমন টুইট!

|

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় দেশটির জনগণের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। শুক্রবার এক টুইটে তিনি নিউজিল্যান্ডবাসীর প্রতি তার সমবেদনার কথা জানান এবং হামলাটিকে ‌’ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড’ (horrible massacre) বলে অভিতিহত করেন।

তবে ট্রাম্পের টুইটের শব্দচয়ন নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে টুইটারে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আজকের টুইটটি দেখুন–

অনেকে বলছেন, সাধারণত এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলায় (বিশেষ করে যেসব হামলায় মুসলিম কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা থাকে) ‘terrorist’ ‘terror attack’ ‘terrorist attack’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে থাকেন ট্রাম্প। কিন্তু শুক্রবারের ঘটনার ক্ষেত্রে– যার হামলাকারী নিজেকে ট্রাম্পের শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী রাজনীতির একজন সমর্থক হিসেবে পরিচয় দিয়েছে– এ ধরনের কোনো শব্দ ব্যবহার করেননি।

হামলার ঘটনায় কোনো মুসলিম জড়িত থাকলে সেই হামলাকে ‌’ইসলামিক টেরোরিজম’ বলতেই পছন্দ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু স্বঘোষিত শ্বেতাঙ্গা উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীর হামলাকে ‘white supremacist terror’ বলতে নারাজ তিনি। এমনকি হামলায় কে বা কারা জড়িত তাদের আদর্শিক পরিচয় কী- সে বিষয়েও কোনো ইঙ্গিত বা নিন্দা নেই তার টুইটে।

সাম্প্রতিক ভিন্ন দুটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের টুইটের শব্দচয়ন খেয়াল করুন–

এছাড়া ট্রাম্প বলেছেন ’49 innocent people have so senselessly died’. এক্ষেত্রেও died (মৃত্যু বরণ) শব্দের ব্যবহার লক্ষণীয়। অন্যান্য হামলার ক্ষেত্রে তিনি killed (নিহত) শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন। যেমন দেখুন স্ক্রিনশটে–

একটি ভয়াবহ ঘটনায় স্বজনদের হারানো নিউজিল্যান্ডবাসীর উদ্দেশে ট্রাম্প best wishes জানিয়েছেন। যদিও কোনো কষ্টের মুহূর্তে কাউকে সমবেদনা জানানোর ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় best wishes শব্দযুগলের ব্যবহার প্রচলিত নয়। তার বদলে sympathy, condolence ইত্যাদি শব্দ ব্যবহৃত হয়।

কেউ কেউ ট্রাম্পের টুইটের প্রথম শব্দগুলো নিয়েও আপত্তি তুলছেন। তার টুইটের রিপ্লাইয়ে ইংরেজিভাষী অনেক ব্যবহারকারী প্রশ্ন করছেন, ‘মি প্রেসিডেন্ট, warmest sympathy বা (উষ্ণ সমবেদনা!) জিনিসটা আসলে কী?!


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply