হামলাকারী ট্রাম্পের সমর্থক

|

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে জুমার মুসল্লিদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ৪৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ঘটনায় ৩০ জন হত্যাকরী যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। হামলাকারী যুবক অস্ট্রেলিয়ান এক শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী বলে নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

টুইটারে তার নাম ব্রেনটন ট্যারেন্ট। সে নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রাফটন থেকে গিয়েছিল।

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, হামলার আগে একটি মেনিফেস্টো সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে ট্যারান্ট। তাতে নিজেকে অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে পরিচয় দিয়েছে।

অভিবাসীবিদ্বেষী এই হামলাকারী তার মেনিফেস্টোতে বলেছে, হামলা করে সে ‌‌’অনুপ্রবেশকারীদের (অভিবাসীদের) দেখাতে চায় যে, আমাদের ভূমি কখনো তাদের ভূমি হবে না যতক্ষণ শেতাঙ্গরা জীবিত থাকবে।’ সে আরও লিখেছে, ‌’আমাদেরকে আমাদের এবং নিজেদের শিশুদের ভবিষ্যতকে নিশ্চিত রাখতে হবে।’

নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন সমর্থক হিসেবে তুলে ধরে হামলাকারী তার মেনিফেস্টোতে লিখেছে, ‌’পূনরুজ্জীবিত শ্বেতাঙ্গ পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে’ বললে আমি অবশ্যই ট্রাম্পের একজন সমর্থক। তবে নেতা বা নীতিনির্ধকার হিসেবে চিন্তা তার সমর্থক নই।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে জুমার নামাজের সময় একটি আধা স্বয়ংক্রিয় শর্টগান ও রাইফেল দিয়ে সাউথ আইল্যান্ডে আল নুর মসজিদে ঠাণ্ডা মাথায় ৪ টি রাইফেল দিয়ে অন্তত ২০৫ বার গুলি ছুড়তে দেখা যায় এই যুবককে।

সে প্রায় ৬ মিনিট তাণ্ডব চালায়, একবার বের হয়ে বন্দুক বদলে আবার ঢোকে, এই লম্বা সময়েও নিরাপত্তা বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি । এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার সময় মসজিদের ভেতর থেকে সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করেন এই শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী।

হামলায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত এক নারীসহ চার ব্যক্তিকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আটকের সময় তাদের একজন সুইসাইড ভেস্ট পরা অবস্থায় ছিলেন। তারা দুই বছর ধরে হামলার পরিকল্পনা করছিল বলেও জানা যায়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply