এটা সন্ত্রাসবাদী হামলা: নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

|

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বন্দুকধারীর হামলায় ৪০ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আরডান।

আজ শুক্রবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আজকের দিনটি নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম কালো দিন। এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা ছাড়া আর কোনোভাবে অভিহিত করার সুযোগ নেই।

জেসিন্দা আরডান আরও বলেন, হামলাটি যে খুবই পরিকল্পিত ছিল তা স্পষ্ট। হামলাকারীদের গাড়িতে দুটি বিস্ফোরক ডিভাইস পাওয়া গেছে, এবং চারজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে।

দেশটির সাউথ আইল্যান্ডে আল নূর মসজিদে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে অন্তত ৫০টি গুলি করা হয়েছে। সামাজিকমাধ্যমে মসজিদের ভেতর থেকে গোলাগুলির লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করা হয়।

স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে যখন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তখন শুক্রবারের জুমার নামাজের প্রস্তুতি চলছিল।

পার্শ্ববর্তী লিনউড মসজিদেও হামলায় নিহতের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, একটি আধা স্বয়ংক্রীয় শর্টগান ও রাইফেল দিয়ে সাউথ আইল্যান্ডে আল নূর মসজিদে অন্তত ৫০টি গুলি ছোড়েন ২৮ বছর বয়সী ব্রেনটন ট্যারেন্ট। তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রাফটন থেকে এসেছেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী তরুণ বলেন, আমি গুলির শব্দ শুনে যতটা সম্ভব দৌড়ে পালিয়েছি। এ সময় আমি অনবরত শুধু গুলির শব্দ শুনেছি।

হামলায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত এক নারীসহ চার ব্যক্তিকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আটকের সময় তাদের একজন সুইসাইড ভেস্ট পরা অবস্থায় ছিলেন।

হত্যাকাণ্ড ঘটনার আগে টুইটারে ৭৩ পাতার ইশতেহার আপলোড করেছেন হামলাকারী। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী হামলার আভাস আগেই তিনি দিয়েছিলেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply