সুন্দরবনের আরও দুটি দস্যুবাহিনীর আত্মসমর্পণ

|

দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যয় নিয়ে যমুনা টেলিভিশনের মধ্যস্থতায় আত্মসমর্পণ করেছে সুন্দরবনের আরও দু’টি বনদস্যু বাহিনী। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় পিরোজপুর স্টেডিয়াম মাঠে বনদস্যু মানজু ও মজিদ বাহিনীর ২০ সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এর হাতে অস্ত্র ও গুলি জমা দিয়ে আত্মসমপর্ণ করেছে।

এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বনজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিপুল পরিমাণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বনদস্যুদের ধারবাহিক আত্মসমপর্ণ বনে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে।

যারা এখনো আত্মসমপর্ণ করেনি তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা ফিরবে না তাদের ভাগ্যে ভয়াবহতা অপেক্ষা করছে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বনদস্যুদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের আত্মসমর্পণ করতে সাহায্য করায় যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মোহসীন-উল হাকিমকে ধন্যবাদ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভুমিকা সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের আইনি সহায়তা দেবে সরকার। তাদের পুনর্বাসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা আছে।

প্রধানমন্ত্রী এ বাবদ অার্থিক সহযোগিতা দিয়েছেন বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমদ বলেন, যারা এখনও আত্মসমর্পণ করেনি তাদের দ্রুত ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।

আত্মসমর্পণকারী দস্যুদলের প্রধান মানজু বলেন, আমরা ভুল পথে ছিলাম। ঐ জীবনে মৃত্যু ছাড়া আর কিছু নাই। এখন অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরত যেতে চাই। আমরা ক্ষমা চাই।

এর আগে আরও ১২টি বনদস্যু বাহিনী যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক মোহসীন-উল হাকিমের মধ্যস্থতায় আত্মসমর্পণ করেছে। মানজু ও মজিদ বাহনীর আত্মসমর্পণের পর এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ তে। একজন সাংবাদিকের মধ্যস্থতায় আত্মসমর্পণের এ ঘটনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাড়া ফেলছে। এ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply