বিএনপি নেতা হত্যার ৫ দিন পর থানায় মামলা

|

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের রামপালে আলোচিত বিএনপি নেতা খাজা মঈন উদ্দিন আক্তারকে নৃশংসভাবে বোমা মেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে রামপাল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার রাতে নিহতের শ্বশুর সাহেব আলী আকুঞ্জী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তবে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার আসামিরা হলেন, রামপালের কদমদী গ্রামের আ. বারিক শেখের ছেলে আজিম শেখ, একই গ্রামের মৃত আশরাফ শেখের ছেলে আহাদ শেখ, শ্রীকলস গ্রামের আমিন উদ্দিন বেপারীর ছেলে বাকী বিল্লাহ, ঝালবাড়ি গ্রামের মৃত আছির উদ্দিন কাজীর ছেলে বাবুল কাজী ও একই গ্রামের বাবরের ছেলে শিবলু।

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা খুনের মোটিভ উদঘাটনে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। তারা আসামিদের পূর্বের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডসহ তাদের সাথে অন্য কারো সম্পৃক্ততা আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে।

জানা গেছে, আসামি বাকি বিল্লাহর বিরুদ্ধে তিনটি ডাকাতি, একটি ডাকাতি করতে গিয়ে হত্যা, একটি অস্ত্র মামলাসহ প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। তার সহযোগী কুমলাইয়ের মুক্ত, শ্রীকলসের নুর মোহাম্মাদ মিয়া, ভাগার নজরুল সরদার, বেলাল বেপারী, মৃনাল, অজয়, রাজ্জাক, লুৎফর, বাচ্চু সরদার, বাবুল হাওলাদার, লিঠু মন্ডল, শীবনগরের লুৎফর, সোনাতুনিয়ার জাহিদ মল্লিক, একই গ্রামের ইমদাদ মোল্লা ও কালেখারবেড় গ্রামের ইমরান হোসেনসহ অনেকের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা খুনের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়ে খতিয়ে দেখছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় উপজেলার ভরসাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্বৃত্তদের বোমার আঘাতে নৃশংসভাবে খুন হন রামপাল উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও উজলকুড় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান খাজা মঈনুউদ্দিন আক্তার।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply