কুমিল্লায় ছাত্রকে হত্যার পর বালু চাপা, অপহরণকারী আটক

|

কুমিল্লা ব্যুরো:

কুমিল্লায় অপহরণের ১৬ ঘণ্টা পর আলী আব্বাস তৌহিদ (১৪) নামে এক কলেজ ছাত্রের মরদেহ বালুর নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ সোমবার কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার নগরীর কোটবাড়ি গন্ধমতি বালুর মাঠে চাপা দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তৌহিদ কুমিল্লা কোটবাড়ি সালমানপুর মাস্টার বাড়ির আবু মূসার ছেলে। সেই কুমিল্লা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। গন্ধমতি বোনের জামাই ইসমাইলের বাড়িতে থেকে পড়া-লেখা করতো তৌহিদ।

পুলিশ সূত্র জানায়, রবিবার রাত থেকে আলী আব্বাস তৌহিদ নিখোঁজ হয়। বহু খোঁজাখুঁজির পর রাত ১০টায় তৌহিদের দুলাভাই ইসমাইল কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। পরবর্তীতে রাত ১২টার সময় একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসে ইসমাইলের মোবাইলে। অপহরণকারীরা জানায়, তৈৗহিদকে অপহরণ করা হয়েছে এবং মুক্তিপণের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন তারা। টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে অপহরণকারীদের বিকাশ নাম্বার চায় দুলাভাই ইসমাইল ও তার পরিবার। অপহরণকারীরা বিকাশ নাম্বার না দিয়ে সরাসরি টাকা লেনদেনের কথা বলে। কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় সাত্তার খাঁন শপিং কমপ্লেক্সের গাড়ি পার্কিংয়ে টাকা নিয়ে আসতে তৌহিদের পরিবারকে বলে অপহরণকারীরা। সোমবার দুপুরে অপু নামে এক অপহরণকারী মুক্তিপণের ৫ লক্ষ টাকা নিতে আসলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।

আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপু নামে ওই অপহরণকারী জানায় কুমিল্লার রেলওয়ে ষ্টেশন মার্কেটের হোটেল আজমিরের ম্যানেজার মাজহারুল তৌহিদকে অপহরণ করতে বলে। অপহরণের প্রয়োজনে তাকে একটি মোবাইলও দেয় ম্যানেজার মাজহারুল। পরবর্তীতে তৌহিদের সন্ধান চাইলে অপহরণকারী অপু জানায় অপহরণের পর তৌহিদকে হত্যার পর গন্ধমতি বালুর মাঠে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ দুপুর ২টায় ওই বালুর মাঠ থেকে তৌহিদের মরদেহ উদ্ধার করে।

কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আনোয়ার হোসেন বলেন, অপহরণের পর মরদেহ বালুর নিচে চাপায়ে মুক্তিপণ ৫ লক্ষ টাকা নিতে আসে অপহরণকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে অপু নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। অপহরণের সাথে হোটেল আজমিরের ম্যানেজারসহ জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। এঘটনায় কলেজ ছাত্র তৌহিদের পরিবারের মামলার প্রস্তুতি রয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply