হামলার বিস্ফোরক জম্মু-কাশ্মীর থেকেই: সাবেক ভারতীয় কমান্ডার

|

জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার বিষয়ে ভারতীয় সাবেক সামরিক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিএস হুদা বলেছেন, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক আনা সম্ভব নয়। স্থানীয়ভাবেই এসব বিস্ফোরক সংগ্রহ করা হয়েছে।

পুলওয়ামায় বৃহস্পতিবারের আত্মঘাতী বোমা হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে প্রতিবেশী ভারত। পাকিস্তান সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ হামলায় দেশটির আধাসামরিক বাহিনীর ৪৪ জওয়ান নিহত হয়েছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সামরিক গাড়িবহরে হামলা চালাতে আত্মঘাতী যুবক আদিল আহমাদ ধর সাড়ে ৭০০ পাউন্ড বিস্ফোরক ব্যবহার করেছেন।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের সংকটের সময় ভারতীয় উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল হুদা। শনিবার নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে তিনি জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার বিষয়ে কথা বলেন। তিনি মনে করেন, জম্মু মহাসড়ককে প্রসারিত করতে ব্যবহৃত বিস্ফোরকের মজুদ থেকে এসব নেয়া হতে পারে।

এদিকে কাশ্মীরে গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী এ হামলার পর সোমবার সকালে বিদ্রোহীদের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে এক মেজরসহ পাঁচ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এতে দুই বিদ্রোহীও মারা গেছেন।

নিহত বিদ্রোহীদের মধ্যে একজন বৃহস্পতিবার পুলওয়ামা আত্মঘাতী হামলার বোমা তৈরি করেছিলেন।

বিদ্রোহীদের উপস্থিতি টের পেয়ে সোমবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। স্থানীয়রা বলেন, তবে দুপক্ষের মধ্যে এখনও গুলিবিনিময় চলছে।

খবরে বলা হয়েছে, যৌথবাহিনীর সদস্যরা যখন একটি বাড়ি টার্গেট করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন বিদ্রোহীরা এলোপাতাড়ি গুলি করলে পাঁচ সেনা নিহত হন।

এ ছাড়া আরও পাঁচজন আহত হলে তাদের শ্রীনগরের ৯২ বেইস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

জম্মু শহরে গত চার দিন ধরে কারফিউ চলছে। সেখানে কাশ্মীরি মুসলমানদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটছে।

সেখানকার হাজার হাজার বাসিন্দা হয় পালিয়ে হিমালয় উপত্যকায় চলে গেছেন, নয়তো ত্রাণশিবিরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

পৃথিবীর সবচেয়ে সামরিক অঞ্চলের একটি হচ্ছে কাশ্মীর। ১৯৮৯ সাল থেকে ছড়িয়ে পড়া বিদ্রোহী দমন করতে সেখানে পাঁচ লাখ ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

সংঘর্ষে এ পর্যন্ত হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। কেবল ২০১৬ সাল থেকে ৬০০ জন নিহত হন। গত কয়েক দশকে এটিই সর্বোচ্চ নিহতের সংখ্যা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply