আল মাহমুদ: একটি জীবন, একটি কিংবদন্তী

|

বাংলা সাহিত্যের সমসাময়িক কবিদের মধ্যে আল মাহমুদ ছিলেন অন্যতম, একইসাথে অনবদ্য। ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক।

১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আল মাহমুদ। প্রকৃত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ।

১৯৫৪ সালে সাপ্তাহিক কাফেলায় লেখালেখি ও দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। ১৯৫৫ সালে কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী কাফেলা ত্যাগ করলে সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন তিনি।

১৯৬৮ সালে ‘লোক লোকান্তর’ ও ‘কালের কলস’ নামে দুটি কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তবে তিনি অমর হয়ে থাকবে তার অনবদ্য সাহিত্যকর্ম সোনালি কাবিন এর জন্য।

১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম ছোট গল্পগ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত, তারপর ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস কবি ও কোলাহল।

স্বাধীনতা পরবর্তীকালে জাসদের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত দৈনিক গণকন্ঠের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

গণকন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক থাকাকালীন সরকার বিরোধী লেখার কারণে কারাবরণও করেন। তারপর ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে শিল্পকলা একাডেমীর গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে নিয়োগ দেন, ১৯৯৩ সালে পরিচালক হিসেবে সেখান থেকে অবসর গ্রহণ করেন।।

সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭২ সালে লাভ করেন জয় বাংলা পুরস্কার, জীবনানন্দ স্মৃতি পুরস্কার ও হুমায়ুন কবীর স্মৃতি পুরস্কার, ১৯৭৬ সালে তিনি কাজী মোতাহার হোসেন সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন, ১৯৯০ সালে তিনি নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক ও ২০১১ সালে লালন পুরস্কার লাভ করেন।

সাহিত্যে তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো, লোক লোকান্তর, কালের কলস, সোনালী কাবিন, মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো, আরব্য রজনীর রাজহাঁস, বখতিয়ারের ঘোড়া, পানকৌড়ির রক্ত, গন্ধ বণিক, ময়ূরীর মুখ ইত্যাদি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply