মোদির বিরুদ্ধে ভারতীয় মন্ত্রী আর বিজেপি নেতাদের টুইটের ঝড়!

|

হঠাৎ করে কী এমন হলো যে, ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্য পর্যায়ের বিজেপি নেতারা নিজ দলীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়া শুরু করলেন? তাও আবার জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে।

আজ বুধবার টুইটারে বিজেপি নেতাদের পোস্টে মোদি বিরোধী বক্তব্যের ঝড় ওঠায় অনেকের বেশ রহস্যজনক টেকেছে বিষয়টি।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পন রাধাকৃষ্ণান টুইট করেছেন, “মধ্যবিত্তের জন্য কাজ করার বিষয়টি মোদি সরকারের এজেন্ডায় গুরুত্ব পাচ্ছে না।…”

আসাম বিজেপির টুইটার একাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে, “জাতিগোষ্ঠি নির্বিশেষে সবার উন্নয়ন করা মোদি সরকারের মূল্য লক্ষ্য নয়।”

আবার অনেক বিজেপি নেতার টুইট ছিল “মোদি সরকার ভারতের গ্রামগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।” কেউ লিখেছেন “মোদি সরকার নারীদেরকে ঘরে দাস বানিয়ে রেখেছে।” এরকম শত শত টুইট হয়েছে বুধবার।

ঘটনা হচ্ছে, মোদির দলের এসব নেতারা কেউ ইচ্ছা করে এমন সমালোচনামূলক টুইট করেনি। তারা অন্যের পাঠানো এডিট করা টুইট না দেখে, না বুঝেই নিজেদের একাউন্টে পোস্ট করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতীক সিংহা নামে ভারতের একজন ফ্যাক্টচেকার বিজেপির আইটি সেলে পরিচালিত একটি গুগল ডকুমেন্টে এক্সেস পান। এই আইটি সেল বিজেপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের জন্য নানান ধরনের বক্তব্য প্রস্তুত করে দেয়, যা ওই নেতারা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে থাকেন।

প্রতীক সিনহা গুগল ডক-এ এক্সেস পেয়ে আইটি সেলের নেতাকর্মীদের লেখা কিছু টেক্সটের কয়েকটি বাক্য এডিট করে রেখে দেন। মূল টেক্সট মোদি সরকারের প্রশংসা করেই লেখা হয়েছিল। প্রতীক সেটা বদলে মোদির সমালোচনা যুক্ত করে দেন।

পরে প্রতীকের সেই এডিট করা টেক্সটই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতারা পোস্ট করে দেন। প্রতীক টেক্সট এডিট করার সময় তার ভিডিও রেকর্ড করে রেখেছিলেন। বিজেপি নেতারা যখন এডিট করা টেক্সট টুইট করেছেন সেগুলোর স্ক্রিনশট নিয়ে রেখে দেন এই ফ্যাক্ট চেকার।

এরপর পুরো বিষয়টি প্রমাণসহ নিজের একাউন্টে টুইট করেন। প্রতীকের টুইটের পর আস্তে আস্তে বিজেপি নেতারা তাদের ভুল টের পান। এবং মোদির সমালোচনামূলক টুইটগুলো দ্রুত সরিয়ে নিতে থাকেন। কিন্তু ততক্ষণে ভারতের মূলধারার মিডিয়া বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply