গ্রন্থ মেলায় বিনয় দত্তের ‘এই শহর সুবোধদের’

|

“এই শহর সুবোধদের” এটি মূলত সমকালীন কথনমালার গ্রন্থ। সমকালীন বিভিন্ন বিষয়কে নিরীক্ষার দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টায় করা হয়েছে গ্রন্থটিতে। বিগত এক-দেড় বছরে বিভিন্ন বিষয় আলোচিত ছিল, সেই আলোচিত বিষয় নিয়ে লেখক বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় লিখেছেন। সেই লেখাগুলো একসাথে সংকলন করা হয়েছে এই গ্রন্থে। গল্পের ঢঙে প্রতিটি লেখা উপস্থাপন করা হয়েছে। যাতে একজন সাধারণ পাঠকও নিজেদের কল্পনায় সেই দৃশ্যপট খুঁজে পেতে পারেন।

এর আগে কথাসাহিত্যিক বিনয় দত্তের “চিলতে মেঘ ও কুহুকেকার গল্প” নামের ছোটগল্পের গ্রন্থ এবং “অমৃতায়ন” নামের উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। এইবার তার সমকালীন কথনমালার গ্রন্থ প্রকাশিত হল।

খ্যাতিমান প্রবন্ধকার, অনুবাদক ও অধ্যাপক ড. হায়াৎ মামুদ বলেন, “এই শহর সুবোধদের” এটি প্রবন্ধগ্রন্থ নয়, আবার গল্পসংগ্রহও নয়, তাহলে কী? পাণ্ডুলিপি পড়ে আমি এটাকে সমকালীন ঘটনা ও বিষয়াদি নিয়ে রচিত কথামালা বলতে পারি। উপন্যাসের মতো কাব্যিক নামের মধ্যেই এর প্রমাণ নিহিত। লেখক সামসময়িক কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গ্রন্থটিকে সজ্জিত করেছেন। বিষয় নির্বাচনেও তাঁর মুনশিয়ানা বেশ বিচক্ষণ মনে হয়েছে। গ্রন্থটি পড়লে মনে হবে না- আপনি পড়ছেন, মনে হবে আপনার সামনে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনাকে বর্তমানের চোখে অবলোকন করে ভবিষ্যতের ভিত নির্মাণের প্রস্তুতিতে দক্ষ হয়ে উঠছেন। এমন একটি ব্যতিক্রমী গ্রন্থ আপনার সংগ্রহে থাকা মানে চিন্তাচেতনার আধুনিকতায় শামিল হওয়া।’

লেখক বিনয় দত্ত মনে করেন, ‘আমাদের সবারই মধ্যে একজন সুন্দর বোধের মানুষ বা সুবোধ লুকিয়ে আছে। সেই সুবোধ সবসময় জেগে থাকে না। সেই সুবোধকে জাগিয়ে তুললে সমাজের বিভিন্ন অসংগতি কমে যেত। সুবোধকে জাগিয়ে তোলার জন্যই এই প্রয়াস। সুবোধ কোনো নাম নয়, কোনো চরিত্রও নয়। সুবোধ একটা প্রতীক। সুবোধ একটা ধারণা, সুবোধ একটা সুন্দর চিন্তার বহিঃপ্রকাশ। সুবোধের কোনো ধর্ম নেই। সুবোধ এই শহরে, এই দেশে থাকতে চাই। কারণ এই শহরটা সুবোধদের।’

“এই শহর সুবোধদের” গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে পুথিনিলয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মেলা প্রাঙ্গনের ৩০১-৩০৩ নম্বর স্টলে গ্রন্থটি পাওয়া যাচ্ছে। প্রচ্ছদ করেছেন সারাজাত সৌম।

লেখক জীবনীঃ

বিনয় দত্ত

জন্মঃ ২০ফেব্রুয়ারি। নন্দনকানন, চট্টগ্রাম।

বাবা অনিমেষ চন্দ্র দত্ত ও মা মিনু দাশ।

শিক্ষাঃ বিএসসি, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং।

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডঃ সদস্য ও পরবর্তীতে কার্যকরী সংগঠক, ‘জলসিঁড়ি খেলাঘর আসর’, চট্টগ্রাম। তবলা প্রশিক্ষণ, ‘আর্য্য সঙ্গীত সমিতি’, চট্টগ্রাম। সাংস্কৃতিক সদস্য, ‘বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন’, কোতোয়ালী থানা, চট্টগ্রাম। আবৃত্তি, ‘বোধন আবৃত্তি সংগঠন’, চট্টগ্রাম। থিয়েটার, ‘বঙ্গরঙ্গ নাট্যদল’, ঢাকা। রবীন্দ্রসঙ্গীতে প্রশিক্ষণ ও পরবর্তীতে কর্মনিষ্ঠ কর্মী, ‘ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তন’, ঢাকা।

লেখালেখির সূত্রপাত ছেলেবেলাতেই। ২০০৫ সাল থেকে লেখক হিসেবে নিজেকে তৈরি করার লক্ষ্যে সক্রিয় সাহিত্যচর্চা শুরু।

লেখালেখিঃ গল্প, কবিতা, উপন্যাস, নাটক, চিত্রনাট্য, মুক্তগদ্য।

সমসাময়িক বিষয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লেখালেখি করেন।

জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটকঃ ‘কাগজের ক্যামেরা’, ‘ফিল্মি বাড়ি’ ও ‘আমাকে একটা গল্প দিবেন প্লিজ’।

গল্পগ্রন্থঃ ‘চিলতে মেঘ ও কুহুকেকার গল্প’।

উপন্যাসঃ ‘অমৃতায়ন’।

পেশাঃ সাংবাদিকতা।

পরিচয়ঃ সহজ গল্পের ফেরিওয়ালা।

স্বীকৃতিঃ ‘দিগন্তধারা সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮’ “অমৃতায়ন” উপন্যাসের জন্য।

[email protected]


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply