আগামী বছর থেকে ১০টি শাখায় বাংলা একাডেমি পুরস্কার

|

আগামী বছর থেকে ১০টি শাখায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদানের কথা জানালেন মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী

এ বছর ৪টি শাখায় ৪ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৮ প্রদান করা হলেও আগামী বছর থেকে ১০টি শাখায় এ পুরস্কার প্রদান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী। পাশাপাশি পুরস্কারের অর্থমূল্যও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি। রোববার সন্ধ্যায় যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ অনুষ্ঠান ‘বাংলার বইমেলা’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, আমি গত ২০ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করি। একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেয়ার সময় দেখতে পাই, এ বিষয়ে একটি নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। নীতিমালায় ১০টি শাখায় মনোনয়ন দিয়ে সেখান থেকে ৪টি শাখায় ৪ জনকে পুরস্কার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আমি জানতে পারি মনোনীতদের মধ্যে পুরস্কারের যোগ্য আরও অনেকে ছিলেন নীতিমালার কারণে যাদের পুরস্কৃত করা যায়নি। আমরা নীতিমালাটি সংশোধন করতে যাচ্ছি। আগামী বছর থেকে ১০টি শাখায় বিবেচনায় নিয়ে যোগ্য ব্যক্তিদের পুরস্কৃত করা হবে।

এর আগে, ২০১৭ সালে ১০টি শাখায় ১২ জনকে ও ২০১৫ সালে সমানসংখ্যক শাখায় ১১ জনকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০১৮ সালে কথাসাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য, কবিতা এবং প্রবন্ধ ও গবেষণা এই ৪টি শাখায় যথাক্রমে মোহিত কামাল, আফসান চৌধুরী, কাজী রোজী ও সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের দুই লাখ টাকার চেক, একটি করে সম্মাননাপত্র ও সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়েছে। আগামী বছর থেকে এ অর্থমূল্য আরও বাড়ানো হবে বলে জানান কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী।

উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালের ২৬ জুলাই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ‘দি বেংগলি একাডেমি অর্ডিন্যান্স’ জারি করেন। এর মাধ্যমে একাডেমির কার্যাবলি সংশোধিত হয়ে সাহিত্য পুরস্কার প্রদান এবং বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন এবং ফেলো, জীবনসদস্য ও সদস্যপদ প্রদান যোগ করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৬০ সাল থেকে বাংলা একাডেমি বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য পুরস্কার দিয়ে আসছে। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন শাখায় বছরে ৯ জনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৮৬ সাল থেকে বছরে ২ জনকে এই পুরস্কার প্রদানের নিয়ম করা হয়। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে চারটি শাখায় পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। ১৯৮৫, ১৯৯৭ এবং ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ – এই তিনবার এই পুরস্কার দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংখ্যক শাখায় এ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply