থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে ডিএমপির নির্দেশনা

|

থার্টি ফার্স্ট নাইট ‍উপলক্ষে রাজধানীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং কোন প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নাগরিকদের উদ্দেশ্যে সতর্কতা মূলক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমন নির্দেশনা জারি করে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা তারা তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজেও পোস্ট করেছে।

#ডিএমপির দেয়া নির্দেশনা ‍গুলো হলো:-

১। ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোন ধরণের জমায়েত/সমাবেশ/উৎসব করা যাবে না।
২। উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোন ধরণের অনুষ্ঠান বা সমবেত হওয়া যাবে না বা নাচ, গান ও কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
৩। কোথাও কোন ধরণের আতশবাজি/পট্কা ফোটানো যাবে না।
৪। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬ টার পরে বহিরাগত কোন ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
৬। গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলী ক্রসিং এবং আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে এ দু’টি ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
৭। একইভাবে উপযুক্ত সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যে সকল নাগরিক বসবাস করেন না তাদেরকে বর্ণিত এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হলো।
৮। সন্ধ্যা ৬টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না।
৯। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকবৃন্দকে ৩১ তারিখ রাত ৮ টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হলো।
১০। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ৩১ তারিখ সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোন পানশালা খোলা রাখা যাবে না।
১১। ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা হতে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরা জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সম্মানিত নগরবাসীর প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ উপর্যুক্ত নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ট্রাফিক ডাইভার্সন ও পরামর্শ:

১। গুলশান, বনানী ও বারিধারায় প্রবেশের সকল রাস্তা রাত ৮টা হতে বন্ধ রাখা হবে। তবে উক্ত এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকগণের প্রবেশের জন্য কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং আমতলী ক্রসিং(মহাখালী) খোলা রাখা হবে। সেক্ষেত্রে গুলশান, বনানী ও বারিধারায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকদের রাত ৮টার মধ্যে উক্ত এলাকায় প্রবেশের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
২। রাত ৮ টা হতে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১ নং রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিং, শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিং উক্ত এলাকাসমূহে প্রবেশের জন্য ব্যবহার করা যাবে না, তবে উক্ত এলাকা থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে এসব ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।
৩। একইভাবে ৩১ তারিখ সন্ধ্যা ৬ টা হতে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত শুধুমাত্র শাহবাগ ক্রসিং এবং নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ পরিচয় প্রদর্শন এবং শনাক্তকরণপূর্বক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। এজন্য পরিচয়পত্র সাথে রাখার জন্য সকলকে বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
৪। পলাশী ক্রসিং, ভাঙ্কর্য ক্রসিং, বক্শী বাজার ক্রসিং, রোমানা চত্ত্বর ক্রসিং, দোয়েল চত্ত্বর ক্রসিং এবং শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সকল প্রকার গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
৫। হাইকোর্ট পয়েন্ট হতে আগত সকল প্রকার গাড়ি সমূহ দোয়েল চত্ত্বর বামে মোড় নিয়ে শহিদুল্লাহ হল হয়ে চাঁনখারপুল ক্রসিং দিয়ে বের হয়ে যেতে পারবে।
৬। কেউ বেপরোয়া, মদ্যপ ও বিপজ্জনক অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply