‘জামায়াতের কোনো প্রার্থী নেই, সবাই বিএনপির’

|

‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রার্থী নেই, সবাই বিএনপি মনোনীত’ বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন। শনিবার দুপুরে সিইসির সাথে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

আদালত কর্তৃক সাময়িক স্থগিত হওয়া বিএনপির প্রার্থীদের আসনে নির্বাচন স্থগিত অথবা প্রার্থিতা পরিবর্তনের সুযোগ চাইতে ইসিতে যান নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল।

এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি, বিজনকান্তি সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, তারা শুধু ধানের শীষের প্রতীক নয়, তারা বিএনপির মনোনীত প্রার্থী। বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষে নির্বাচন করছেন তারা। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ তাদের দেয়া হয়েছে। জামায়াত তাদের মনোনীত করেনি। বিএনপি মনোনীত করেছে।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া জামায়াত নেতাদের পদ-পদবী তাদের দলীয় ওয়েবসাইটে উল্লেখ আছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, ওয়েবসাইটে পদ-পদবী থাকুক। আপনারাও যদি আমাদের কাছে মনোনয়ন চান, আমরা দিতে পারি। কোনো ওয়েবসাইটে আপনার নাম কীভাবে আছে সেটা পরের ব্যাপার। আমরা আইনের মাধ্যমে দিতে পারি কি-না সেটা হলো বিষয়।

তিনি বলেন, জামায়াত কোনো নিবন্ধিত দল নয়। কারা কারা জামায়াত করে সেই তালিকাও আমাদের কাছে নাই। আমরা যাদের মনোনয়ন দিয়েছি, তারা আমাদের দলের প্রতীক ধানের শীষ পেয়েছে। এটা যদি অবৈধ হতো তাহলে নির্বাচন কমিশন আগেই বলত- তাদের প্রার্থিতা অবৈধ।

নজরুল বলেন, তাদের যদি প্রতীক দেয়া বেআইনি হতো, তাহলে নির্বাচন কমিশন কেন তাদেরকে প্রতীক বরাদ্দ দিল। আওয়ামী লীগ সব সময় বলে নির্বাচন কমিশন যা করে তাই আমরা মেনে নিব, বাধা সৃষ্টি করব না। এখন কেন আওয়ামী লীগ ইসির কাজে পদে পদে বাঁধা সৃষ্টি করছে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি, হামলা-মামলা, ধড়পাকড় অব্যাহত রয়েছে। একদিকে আদালতের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হচ্ছে, অন্যদিকে বৈধ প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বরিশাল-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী শিরিন আক্তারকে শুক্রবার মারধর করে পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় তাকে দেখতে যাওয়া ৮-১০ নেতাকর্মীদের পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, দুপুরে নরসিংদীর মনোহরদিতে বিএনপি প্রার্থী সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের নির্বাচন প্রচারণায় হামলা চালায় আওয়ামী লীগ। এতে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা হলেও হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে বরং বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, নরসিংদী-৩ আসনের মনজুর এলাহীর মিছিলেও আওয়ামী লীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।

এখন পর্যন্ত আদালত ১২-১৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাতিলের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এসব আসনের নির্বাচন স্থগিত রেখে আবার নির্বাচনের দাবি করছি। অথবা এসব আসনে আমাদের প্রার্থী পরিবর্তনের সুযোগ দেয়া হোক। নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতা বৈধতা দেয়ার কারণেই তাদেরকে আমরা মনোনীত করেছি। কমিশন যদি সেই সময় অবৈধ ঘোষণা করত আমরা অন্য প্রার্থী দিতাম।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply