ফরিদপুর-৪ আসনে নৌকা ও সিংহ প্রতীকের সমর্থকদের সংঘর্ষ

|

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুর-৪ আসনে (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর এই দুই পক্ষ ভাঙ্গায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সাংসদ কাজী জাফরউল্ল্যাহ। সিংহ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন বর্তমান সাংসদ মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় নিক্সন সমর্থকরা সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালী বাজারে মিছিল বের করলে কাজী জাফরউল্ল্যাহর সমর্থকরা হামলা করে। এতে নিক্সন গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।

এরপর নিক্সন গ্রুপ সংগঠিত হয়ে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিবিদ্ধসহ দুই পক্ষের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়।

আহতদের উদ্ধার করে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৮ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক চরবলাইশাইল গ্রামের শামসু মাষ্টারের ছেলে দিদার ও লাভলু এবং শিল্পী নামে এক নারীর অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে চিকিসকরা।

এই ঘটনার পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক ওমর ফারুককে আটক করলে সাংসদ নিক্সনসহ নেতাকর্মীরা সদরপুর থানা ঘেরাও করে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছেছেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা উম্মে সালমা তানজিয়া ও পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন খান।

এ ব্যাপারে সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর ব্যাক্তিগত সহকারী জাহিদুর রহমান রিয়ন জানান, আমাদের কর্মীদের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের কর্মীদের আহত করা হয়েছে। সেই ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাকেই আটক করে। বিষয়টি জানতে পেরে নিক্সন চৌধুরী থানায় আসলে তার কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক থানা ঘেরাও করে রাখে।

বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করায় সাংসদের সমর্থক এক চেয়ারম্যানকে পুলিশ আটক করেছিল। তাকে বিধি ভঙ্গ করার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমান করা হয়েছে। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। পুরো পরিস্থিতি এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply