অরিত্রী আত্মহত্যায় ভিকারুননিসার অধ্যক্ষসহ ৩ শিক্ষক জড়িত: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

|

নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস সহ ৩ শিক্ষক জড়িত বলে চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।

আজ কমিটি এ মত প্রকাশ করে।

অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ছাড়া বাকি দুই শিক্ষক হলেন শাখা প্রধান জিনাত আকতার ও শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা।

এর আগে অরিত্রীর আত্মহত্যার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ উত্তাল ছিল ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

সকাল থেকে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। আজকের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্কুলের মূল ফটকে অবস্থান করছে।

নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘শাসন করুন অপমান নয়’, ‘কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আর কত শিক্ষার্থী প্রাণ দেবে’, ‌‌‘শিক্ষার্থীদের অপরাধের শাস্তি যদি টিসি হয়, তবে শিক্ষকদের অপরাধের শাস্তি কি হবে?’ বলে স্লোগান দেয়।

অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষকরা কখনো শিশুদের সমস্যা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চায় না। এমনকি বাচ্চার কোন সমস্যা নিয়ে গেলে সমাধান করার চেষ্টা করে না।

অরিত্রীর বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকলের অভিযোগ এনেছিল। এজন্য অরিত্রীর মা-বাবাকে ডেকে নেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ।

তাদের ডেকে মেয়ের সামনেই অপমান করে বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে অরিত্রীকে নকলের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হবে। এ অপমান সইতে না পেরে বাসায় এসে অরিত্রি আত্মহত্যা করে।

পুলিশ ও পরিবারের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর শান্তিনগরে সাততলা ভবনের সপ্তম তলায় নিজ ফ্ল্যাটের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অরিত্রীকে পাওয়া যায়।

এর পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসকরা অরিত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। অরিত্রীর বাবা দিলীপ কুমার একজন সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply