‘বিরোধী দলের কেউও শঙ্কায় থাকলে তার জন্য পুলিশ নিরাপত্তা দেবে’

|

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা পদের কারণে অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করছেন না। তফসিল ঘোষণার পর নিরাপত্তার জন্য কারো কারো সাথে পুলিশ থাকে, এখনও থাকছে। সেটা শুধু সরকারি পদধারী ব্যক্তিবর্গ নন, আরও অনেকের ক্ষেত্রেই হচ্ছে। বিরোধী দলের কেউও নিরাপত্তা শঙ্কায় থাকলে তার জন্য পুলিশ নিরাপত্তা দেবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যমুনা টিভির ‘রাজনীতি’ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আসলে ভিন্ন নামে আত্মপ্রকাশ করা বিএনপি জামায়াতের জোটের পক্ষ থেকে দোষ ধরার চেষ্টা করার চেষ্টা করবেন, মিথ্যা বলবেন, এগুলো নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আগে আমি এলাকায় এলে পুলিশের কর্মকর্তারা আসতেন, প্রটোকল দিতেন। এখন মনোনয়ন জমা দিতে আসার পর আমার এখানে কেউ আসেননি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির উদ্দিন বলেন, শাহরিয়ার আলম ভাল কথাই বলেছেন। কিন্তু আজ আমাদের চট্টগ্রামের হাটাহাজারীতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ দুটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ প্রটোকলে অংশ নিয়েছেন। তফসিল ঘোষণা পর এমন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কারো যোগ দেয়ার সুযোগ আছে কিনা আমি জানি না। বিএনপির সাথে জামায়াত থাকার অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু জামায়াত এখন নিষিদ্ধ। আমাদের সাথে আছেন ড. কামাল হোসেনসহ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া ব্যক্তিরা। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন এটি নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। তিনি বলেছিলেন আর প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না। কিন্তু গত পাঁচ বছর এই অবৈধ সরকারের যাতাকলে পিষ্ট হয়েছে দেশের মানুষ।

বিএনপির মধ্যে কোনো জগাখিচুড়ী অবস্থা নেই। আমাদের সব নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ছিলাম, নির্বাচনেও আছি। এই নির্বাচনও আন্দোলনের অংশ। এক নেত্রী যখন দেশজুড়ে নির্বাচনী প্রচার করে বেড়াচ্ছেন, তখন আরেক নেত্রীকে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এই অবস্থায়ও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে আছি। আমাদের জগাখিচুড়ী অবস্থা নয়, বরং আওয়ামী লীগের উচিত নিজেদের দলের মধ্যে লড়াইয়ে গত কয়েক মাসে কয়জন প্রাণ হারিয়েছেন সেদিকে খেয়াল দেয়া।

জাসদ একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, আসন নিয়ে মহাজোটের ভেতরে একটা অসন্তুষ্টি আছে। তবে আমি মনে করি এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এমনটি থাকবেই। তবে সবাই মিলে নির্বাচনে অংশ নেয়াকে বেশ ইতিবাচকভাবে দেখছি।

ঐক্যফ্রন্ট সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর ’জাস্ট ননসেন্স’ মন্তব্যের জবাবে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমাদের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বয়স হয়ে গেছে। তিনি গণফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এখন উনি দেশে ‘রাবিশ মন্ত্রী’ হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছেন। তার বক্তব্য নিয়ে আর কিছু বলতে চাচ্ছি না। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জামায়াতের সাথে নির্বাচন করার ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের যে আপত্তি ছিল তা থেকে কি আপনারা সরে এসেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সুব্রত বলেন, ধানের শীষ প্রতীকের মালিকরা কাকে তাদের প্রতীক দেবে তা তাদের বিষয়। আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারকে তাদের নৌকা দিচ্ছে নাকি হেফাজতকে দিচ্ছে সেটাও আমাদের বিবেচ্য নয়। জামায়াতের অনেকে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করছেন। ফলে এসব ক্ষেত্রে কারা কী করছে সবই আপনারা তুলে ধরেন। এক পক্ষীয়ভাবে দেখাবেন না। আর ৭১ এর পরের জন্ম নেয়া একটা প্রজন্মকে জোর করে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ঠেলে দেয়ার রাজনীতি থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসা উচিত। স্বাধীনতার পক্ষে ও বিপক্ষের শক্তি বলে জাতিকে বিভাজিত করার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply