গরুর শিং নিয়ে বিবাদ; পার্লামেন্টে গণভোট

|

অভূতপূর্ব গণভোট হতে যাচ্ছে, সুইজারল্যান্ডে। রাজনৈতিক কোন মারপ্যাঁচ নয় বরং গণভোটের লক্ষ্য- গরুর শিং। রোববার ব্যালটে থাকবে একটাই প্রশ্ন- গরুর শিং থাকবে কি থাকবে না? শিং না কাটার পক্ষে রায় এলেই, প্রত্যেক গরুতে মোটা অংকের ভর্তুকি পাবেন খামার মালিকরা।

শিং থাকা মানেই লড়াই কিংবা জখমের ঝামেলা। এমন ধারণা থেকে গরুর শৈশবে শিং কেটে ফেলার এ প্রথা পুরনো ইউরোপে। পশ্চিমা খামারগুলোতে তাই শিং বিহীন এমন গরুরই দেখা মেলে বেশি।

অবশ্য অনেক খামারিই পশুর শিং কাটার বিরোধী। তাদের যুক্তি হচ্ছে গরুর স্বাভাবিক বিকাশে বাধা দেয়া অন্যায়।

গরুর শিং থাকার পক্ষের উদ্যোক্তা আরমিন কাপাউল বলেন, গুরু থেকে আমরা দুধ পাই। এ জন্য অবশ্যই তাদের সেবা করা উচিত। গরুর শিং কেটে ফেলাটা কখনও উচিৎ নয়। খেয়াল করে দেখুন তারা প্রায় সময়ই মাথা উঁচু করে থাকে। যা তাদের গর্ব। আমি বলবো যদি এটা কেটে ফেলেন তাহলে অবশ্যই তাদের সাথে অন্যায় করা হবে।

৬৬ বছর বয়সী আরমিনের উদ্যোগের কারণেই গরুর শিং রাখা, না রাখা প্রশ্নে গণভোট হচ্ছে সুইজারল্যান্ডে। শিংওয়ালা গরু পালনে বাড়তি সুবিধার দাবিতে এক লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তিনি।

আরমিনের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। প্রথমে আমি চাই নি গরুর শিং নিয়ে বড় কোন ইস্যু তৈরি হোক। এখন মনে হচ্ছে এমন উদ্যোগের সাথে কাজ করতে পেরে বেশ আনন্দিত।

রোববারের ভোট সামনে রেখে প্রচার চালাচ্ছে শিং এর সমর্থক-বিরোধী দুই পক্ষই। বিপক্ষের যুক্তি, শিং বিহীন গরুতে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। কুকুর বেড়ালের মতো স্বচ্ছন্দে পালন করা যায়।

এই উদ্যোগের বিরোধীতা করে একজন বলেন, আমি এই উদ্যোগের বিপক্ষে। কারণ শিং থাকলে গরু পালা অনেক ঝামেলার। শুধু তাই নয় মানুষ এবং অন্য প্রাণীর জন্য বিপদের কারণ। অনেকে আহতও হতে পারেন।

গণভোটের রায় পক্ষে গেলে প্রতিটি শিংওয়ালা গরুর জন্য ১৯১ ডলার করে ভর্তুকি পাবেন কৃষক। জখমের ঝুকি নিয়ে শিং রক্ষার ক্ষতিপূরণ এটা।

যমুনা অনলাইন: আরএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply