নোয়াখালীতে ইজতেমা বন্ধ করতে ডিসি ও এসপি অফিস ঘেরাও

|

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কৃষ্ণরামপুরস্থ মাদরাসাতুস্ সাহাবা সংলগ্ন মাঠে তাবলীগ জামাতের নামে ইজতেমা বন্ধ করতে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করেছে নোয়াখালীর ওলামা  ও মাইজদী মারকাজের আহলে শূরা’র সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘন্টা ব্যাপী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থানের পর ইজতেমা বন্ধ করতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত আবেদন জানান তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাইজদী মারকাজের আহলে শূরা সদস্য ডা.আবু হোসেন সরকার, মাওলনা গোলামুর রহমান, হাজী আবদুল মমিন, জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলনা আজিজ উল্যা, জেলা জামে মসজিদের কতিব মুফতি দেলোয়ার হোসাঈন, জেলা কোর্ট মসজিদের খতিব মাওলনা ইসমাঈল হোসেন, হাজিরহাট মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল নুরুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাওকালে সহস্রাধিক ওলামা একত্রিত হয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের পরামর্শক্রমে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় তাবলীগী মারকাজ কাকরাইল মসজিদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ বছর বিশ্ব ইজতেমা প্রথম পর্ব- ১৮,১৯ ও ২০ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব- ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারী ২০১৯ইং টঙ্গীতেই অনুষ্ঠিত হবে। নোয়াখালী জেলা দ্বিতীয় পর্বে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া দেশের কোন জেলায় এ বছর ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে না। কিন্তু সম্প্রতি কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তিবর্গ কাকরাইলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার আলী বাজারে ১৪, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর ২০১৮ইং তারিখে জেলা ইজতেমার নামে জমায়েত হতে বলে। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি প্রদান না করে ১৪৪ ধারা জারি করায় সেখানে আর জমায়েত হতে না পারায় তারা শহরের কৃষ্ণরামপুরস্থ মাদরাসাতুস্ সাহাবা সংলগ্ন মাঠে গত রাত থেকে তাবলীগ জামাতের নামে ইজতেমা শরু করে।
তাই এই ইজতেমা বন্ধ করার দাবি জানান নোয়াখালীর ওলামা হাযরাত ও মাইজদী মারকাজের আহলে শূরা’র সদস্যরা।

সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply