ফেসবুকে অসহায় নারীর ছবি প্রকাশ, ঘর দিলেন জেলা প্রশাসক

|

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পটুয়াখালীর অসহায় নাসিমা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী। অস্থায়ী ভাবে স্কুলের বারান্দা ও ভাঙ্গা দোকানে রাত কাটানো নাসিমাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্টের কারণে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক রবিবার বিকালে তার হাতে সরকারী আবাসনের একটি ঘরের চাবি তুলে দেন।

পটুয়াখালী পৌর শহরের কলের পুকুরপাড় এলাকার নাসিমা বেগম (৫০)। একদিন তার স্বামী ছিলো, সংসারে প্রাচুর্য না থাকলেও অভাব ছিলোনা। স্বামী অন্যত্র বিবাহ করে চলে যাওয়ায় কপাল পোড়ে তার। পরে দুই ছেলে নিয়ে শুরু হয় তার পথ চলা। বড় ছেলে বিবাহ করে আলাদা হয়ে যাওয়ায় প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে হাঁটতে হয় এই পথ, শুরু হয় কষ্টে ভরা জীবনের। অন্যের বাড়ি কাজ করে চলত দুই মা ছেলের সংসার। তবে মাথা গোজার ঠাঁই ছিলো না। ফলে ভাঙ্গা স্কুলের বারান্দায় থাকতেন তারা। বৃষ্টি হলেই পড়তো বিপদে। পটুয়াখালীর সিটি জার্নালিষ্টের পক্ষে জহিরুল ইসলাম নাসিমার এই মানবিক দিক তুলে ধরেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

যা ভাইরাল হয়ে যায়। দৃষ্টি পড়ে পটুয়াখালীর সুযোগ্য জেলা প্রশাসকের। তিনি তাৎক্ষণিক সহকারি কমিশনার ভুমি (পটুয়াখালী সদর) সাবেকুন নাহারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে সাবেকুন নাহার লাউকাঠি ইউনিয়নের আবাসনে একটি ঘর খালি পেয়ে জেলা প্রশাসককে জানান। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার বিকেলে সদর উপজেলার ১নং লাউকাঠি আবাসনে উপস্থিত হয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী তাদের হাতে চাবি তুলে দেন।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ মামুনুর রশিদ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাবেকুন নাহার, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি জাকারিয়া হৃদয়, লাউকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ও পটুয়াখালী সিটিজেন জার্নালিষ্ট ফোরামের সদস্যরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply